Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সৌদির দোররা, ইউরোপের পুরস্কার

soudi-bloggarএকই কাজের জন্য যখন সৌদি আরব দোররা মারে, তখন ইউরোপ দেয় পুরস্কার। সৌদির শাসকদের চোখে তিনি ধর্ম অবমাননকারী, ইসলামাবিদ্বেষী। আর ইউরোপের দৃষ্টিতে তিনি মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের নির্ভীক কর্মী।

বলছি সৌদি আরবের সেই ব্লগার রাইফ বাদাবির কথা, যাকে ইসলাম অবমাননার দায়ে সৌদির আদালত ১ হাজার দোররা মারার আদেশ দেন। সেই সঙ্গে ১০ বছরের জেল এবং ১ লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড জরিমানা করা হয়। এরই মধ্যে ৫০ দোররা ভোগ করেছেন রাইফ বাদাবি। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বাকি ৯৫০ দোররা মারা থেকে বিরত রয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

chardike-ad

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সম্মানজনক ‘সাখারভ পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে রাইফ বাদাবিকে। পুরস্কার ঘোষণার পর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন স্কুলজ সৌদি বাদশা সালমানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ‘তাকে (রাইফ) ছেড়ে দেওয়া হোক, যেন তিনি পুরস্কার নিতে পারেন।’

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজ্ঞানী আন্দ্রেই সাখারভের নামে মুক্ত চিন্তার জন্য ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্ত চিন্তার ‘পেন পিন্টার পুরস্কার’ পান।

ফ্রি সৌদি লিবারেলস নামে ওয়েবসাইটে লেখার জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ তাকে অভিযুক্ত করে মামলা করে। ২০১২ সালে ইসলাম অবমাননার জন্য তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। ১০০০ দোররা শাস্তির আদেশ দেওয়া হলেও এ বছরের জানুয়ারিতে তাকে ৫০ দোররা মারা হয়। এখন জেল খাটছেন তিনি।

রাইফের শাস্তির বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। তার মুক্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। কিন্তু তাকে এখনো জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে।

তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।