Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফেসবুকের ‘লাইক’ অপশন থামাতে পারে আইএসকে

isisইসলামী চরমপন্থীরা উগ্রবাদ ছড়িয়ে দিতে প্লাটফর্ম হিসেবে বেছে নিচ্ছে ফেসবুক, অ্যালফাবেটের ইউটিউব ও টুইটারকে। এটি বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে সিলিকন ভ্যালি। মার্কিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। সম্প্রতি ডাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে এ বার্তাই দিলেন শেরিল স্যান্ডবার্গ। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তার (সিওও) দাবি, ফেসবুকে ‘টেরোরিস্ট অ্যান্ড এক্সট্রিমিস্ট’ পেজে লাইক দিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ রুখে দাঁড়ানো সম্ভব। তার ভাষ্যে, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আইএসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল যুদ্ধে শামিল হওয়া উচিত। এতে পেজগুলোয় লাইক দেয়ার পাশাপাশি উগ্রবাদের বিরুদ্ধে বার্তাও পাঠাতে পারেন তারা। উদাহরণ হিসেবে তিনি বললেন জার্মান নিও-নাজি পেজের কথা। সক্রিয় অংশগ্রহণকারীরা এই পেজ তৈরির পর থেকেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। এ পেজের সদস্যরা ইতিবাচক সব বার্তা পোস্ট করেন। সেই পেজগুলোয় ঘৃণা ও অসহিষ্ণুতার বদলে ছিল সহিষ্ণুতামূলক বার্তায় পরিপূর্ণ। একটি কুকথার জবাব দেয়া সম্ভব ভালো মন্তব্যের মাধ্যমে। আর সহিষ্ণুতাই হচ্ছে ঘৃণার বড় প্রতিষেধক। আইএস সমর্থনকারী ও নিয়োগদাতাদের ক্ষেত্রেও এ রকম একটি পেজ খুলে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিরুত্সাহিত করা যেতে পারে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে শেরিলের এ বার্তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন অ্যালফাবেটের গুগল আইডিয়ার পরিচালক জারেড কোহেনও।

chardike-ad

অনলাইন সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো ব্যবস্থাই নিতে পারছে না বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক ও রাজনীতিবিদরা বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ইন্টারনেটে আইএসের কার্যক্রম রোধের বিষয়ে মাইক্রোসফটের কর্ণধার বিল গেটসের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান বলে জানিয়েছিলেন।

গত ৭ জানুয়ারি স্যান জোসেতে সিলিকন ভ্যালির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওই বৈঠকে স্যান্ডবার্গ ও অ্যাপলের টিম কুক ওয়াশিংটনকে অনলাইনে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বেশকিছু পরিকল্পনা দেন।