অস্বাভাবিক শরীরের জন্য তাঁর মৃত্যু চাইত সকলে। কিন্তু, তাঁর মা কোনওদিনই রাজি ছিলেন না সন্তানকে শেষ করে দিতে। হাজার হোক মা-এর মন। আজ সেই সন্তানকেই কুর্নিশ করছে বিশ্ব।
ক্লদিও ভিয়েরা দি অলিভিয়েরা যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে আঁতকে উঠেছিলেন। ক্লদিও-র মা-কে চিকিৎসকদের পরামর্শ ছিল তাঁকে এমনভাবে মানুষ করতে যাতে সে তাড়াতাড়ি মরে যায়।
এই খবর ব্রাজিলের ক্লদিও ভিয়েরা দি অলিভিয়েরা এবং তাঁর মা-এর। জন্মের সময় অলিভিয়েরা জন্মের সময় বিরল অর্থ্রোগ্রাইপোসিস নামে একটি রোগ নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন। এই বিরল রোগে শরীরের সমস্ত জয়েন্টগুলো তার শক্তি হারিয়ে ফেলে, ফলে জন্মের সময় থেকেই অলিভিয়েরার মাথা পিছন দিকে হেলেছিল। এমনকী, হাত-পা সমস্তই ছিল বিসদৃশ। অলিভিয়েরাকে দেখে মনে হয়েছিল একতলা মাঠি। যার কোনও স্বাভাবিক মানুষের মতো চেহারা নেই।
কিন্তু, চিকিৎসকদের কথা শোনেননি অলিভিয়েরার মা। ছেলেকে পরম যত্নে বড় করেছিলেন। আজ অলিভিয়েরা হয়তো আর দশটা-পাঁচটা মানুষের মতো স্বাভাবিক দেখতে নয়। কিন্তু, মানসিক জোর হারাননি অলিভিয়েরা। পড়াশোনা শিখেছেন। মুখে পেন লাগিয়ে গড়গড় করে দিস্তার পর দিস্তা লিখতেও পারেন। এমনকী, হাঁটা-চলাও করেন। অলিভিয়েরা জীবনি আজ ব্রাজিলের প্রতিটি মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কুল-কলেজ সবখানেই ‘মোটিভেশানাল স্পিকার’ হিসাবে অলিভিয়েরার ডাক পরে।
এহেন অলিভিয়েরা এবার নিজের পেনেই লিখে ফেলেছেন তাঁর জীবনি। যা খুব শিগগিরি প্রকাশিতও হতে চলেছে। অলিভিয়েরার জীবনিকে আজ তুলে ধরেছে বিশ্ব সংবাদমাধ্যম। তাঁর মনের জোরকে কুর্নিশ জানিয়েছে বিশ্ব।
এককালে যে শিশুকে চিকিৎসকরা মেরে ফেলারই পরামর্শ দিয়েছিল আজ সেই মানুষটি বিশ্ব জুড়ে এক নয়া প্রেরণা।-সংবাদমাধ্যএম
নতুন বার্তা/এমআর