Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলি আর নেই

image_157457_0কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলি আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ‘সর্বকালের সেরা’ বলে বিবেচিত এই বক্সার ফিনিক্সের একটি হাসপাতালে শুক্রবার ৭৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

পরিবারিক মুখপাত্র জানান, শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আলি।

chardike-ad

১৯৮১ সালে বক্সিং থেকে অবসর নেয়ার তিন বছর পর থেকেই পারকিনসন্স রোগে ভুগছিলেন তিন বারের বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন আলি। কয়েক বছর ধরে তার অবস্থার আরো অবনতি হয়।

 ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আলি। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে মূত্রঘটিত সংক্রমণের জন্য হাসপাতালে আনা হয় তাকে।

গত এপ্রিলে মোহাম্মদ আলি পারকিনসন্স সেন্টারের সহায়তার জন্য অ্যারিজোনায় আয়োজন করা ‘সেলেব্রিটি ফাইট নাইট-এ সবশেষ জনসমক্ষে এসেছিলেন আলি।

পরিবারের সদস্যরা জানান, আলির জন্মস্থান কেনটাকির লুইসভিলে শেষকৃত্য অনুষ্ঠান হবে।

ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে নামে জন্ম নেওয়া আলি বিখ্যাত হয়ে উঠেন ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে লাইট-হেভিওয়েটে সোনা জিতে।

‘দ্য গ্রেটেস্ট’ ডাকনাম পাওয়া আলি ১৯৬৪ সালে সনি লিস্টনকে হারিয়ে প্রথম বিশ্ব খেতাব জেতেন। পরে তিনি প্রথম বক্সার হিসেবে তিনবার বিশ্ব হেভিওয়েট শিরোপা জেতেন।

১৯৮১ সালে পেশাদার বক্সিং থেকে অবসর নেওয়ার আগে ৬১টি লড়াইয়ের মধ্যে ৫৬টিতে জেতেন আলি।

১৯৪২ এর ১৭ জানুয়ারি আলি জন্মগ্রহণ করেছিলেন কেন্টাকির লুইসভিলাতে৷বাবার নাম অনুসারেই ইতিহাসের সর্বকালের হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নের নাম রাখা হয়েছিল ক্যাসিয়াস মারসেলাস জুনিয়র৷
আলির বাবা ক্যাসিয়াস মারসেলাস সিনিয়র ছিলেন দাসপ্রথা বিরোধী রাজনীতিবিদ৷১৯৬৪-তে আলি ইসালামি সংগঠন নেশন অফ ইসলামে যুক্ত হন৷১৯৭৫-এ ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে তিনি মোহাম্মদ আলি হন৷
‘শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াবিদ’ হিসেবে পরিচিত আলি শুধু বক্সিংয়ের রিংয়েই দুর্দান্ত ছিলেন না, ম্যাচের আগে-পরে কথাবার্তাতেও ছিলেন পটু।সরব ছিলেন নিপীড়িত মানুষের অধিকারের দাবিতে।
প্রথমবার বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার মাত্র ৩ বছর পর তাকে ভিয়েতনাম যুদ্ধে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল আমেরিকান সরকার। কিন্তু আলী তা সরাসরি প্রত্যাখান করে বলে দিয়েছিলেন, তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিপক্ষে ৷ কোনো অবস্থাতেই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করবেন না-এটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন স্পষ্টভাবে। মাঠে ও মাঠের বাইরে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব দিয়ে হয়ে উঠেছিলেন দারুণ প্রভাবশালী একজন। স্পোর্টস ইলাস্ট্রাটেড তাকে সম্মানিত করেছিল গত শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে। বিবিসি চোখে হয়েছিলেন শতাব্দীর সেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। আর সারা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীদের অনেকের কাছে তো তিনি সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদই। দ্য গ্রেটেস্ট নামটা তো সে কারণেই!
মৃত্যু তাকে অন্য এক ভুবনে নিয়ে গেছে। কিন্তু এই ভুবনের তিনি তার কীর্তি দিয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন চিরকাল।নতুন বার্তা