এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ২০১২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরই কিম জং উন চীন সীমান্তে তাদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য দেয়াল নির্মাণ করেছেন। যার ফলে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের জন্য দেশত্যাগ আরো কঠিন হয়ে পরছে। তবে মূলত অর্থনৈতিক কারণেই উত্তর কোরিয়ানরা দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছে।
গত এপ্রিলে এক রেস্টুরেন্টের কর্মীরা অভিযোগ করেছে তাদের ম্যানেজার চীন পরিচালিত একটি রেস্টুরেন্টে পালিয়ে গেছে। এছাড়া এরকম বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা প্রায়ই দেখা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ কোরিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, দেশত্যাগীদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ অর্থনৈতিক কারণে এবং অন্তত ২০ শতাংশ ভালো সুযোগ পাওয়ার লোভে দক্ষিণে পারি জমাচ্ছে।
এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ওয়াশিংটন কতৃক চিহ্নিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোন প্রকার আলোচনায় বসতে নাকচ করে দিয়েছেন কিং জনং উন।
উল্লেখ্য, জানা গেছে, ২০০৯ সালে ২৯১৪ জন, ২০১১ সালে ২৭০৬ জন, ২০১২ সালে ১৫১৪ জন, ২০১৩ সালে ১৫১৪ জন, ২০১৪ সালে ১৩৯৭ জন এবং ২০১৫ সালে ১২৭৬ জন উত্তর কোরিয়ার নাগরিক দক্ষিণে পাড়ি জমিয়েছে।