অর্থ আর আবেগ সবসময় পাশাপাশি চলে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় ও ওয়ারেন বাফেটের আয় এ কথার সত্যতা প্রমাণ করছে। খবর ব্লুমবার্গ।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর চলতি সপ্তাহে ওয়ারেন বাফেটের সম্পদমূল্য বেড়েছে ৬২০ কোটি ডলার। এ সুবাদে তিনি জারার মালিক আমানচিও ওর্তেগা এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে পেছনে ফেলে ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন।
ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করেছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে তার ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। হিলারি ক্লিনটনের জন্য চাঁদা দেয়ার পাশাপাশি তিনি তার নির্বাচনী তহবিল গঠনে একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। ওয়ারেন বাফেট নির্বাচনের দিনও হিলারি ক্লিনটনের জন্য কাজ করেছেন। নিজ রাজ্য নেব্রাস্কায় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে তিনি দিনের অর্ধেকের বেশি সময় কাজ করেছেন।
নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন জিততে পারেননি। জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে করে ওয়েলস ফার্গো ব্যাংকের শেয়ারের দাম দুদিনে ১৩ শতাংশ বেড়ে যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প জেতায় বিনিয়োগকারীরা মনে করেন, ব্যাংকিং খাতে নিয়ন্ত্রণমূলক আইনের সংখ্যা কমবে। মূলত এ কারণেই বাজারে ব্যাংকগুলোর শেয়ারের আবেদন বৃদ্ধি পায়।
বাফেটের কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ওয়েলস ফার্গোর ১০ শতাংশ শেয়ার মালিক। স্যান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক ব্যাংকটির শেয়ারদর ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাফেটের আয় হয়েছে ৬২০ কোটি ডলার। বাফেটের আয় বাড়লেও এবারের নির্বাচনের ফলাফল অন্য ধনকুবেরদের জন্য এত লাভজনক হয়নি। মেক্সিকোর মুদ্রা পেসোর দরপতনের কারণে এ সপ্তাহে বিশ্বের শীর্ষ ধনী কার্লোস স্লিমের সম্পদমূল্য ৫৮০ কোটি ডলার কমেছে। স্পেনের পোশাক ব্যবসায়ী ও দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী আমানচিও ওর্তেগার সম্পদমূল্য ২৭০ কোটি ডলার কমেছে। এ অবস্থায় বাফেটের সম্পদমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি ওর্তেগাকে পেছনে ফেলে ধনকুবের তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠেছেন। ওর্তেগা নেমে গেছেন তৃতীয় অবস্থানে।