Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সৌদি আরবে প্রবাসীদের সুসময় ফুরিয়ে আসছে

Saudi-Arabia

অর্থনৈতিক সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। এ সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে নিজেদের নাগরিকদের কর্মক্ষেত্রে বেশি করে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটি। এছাড়া সৌদি আরবের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হচ্ছে। ফলে দেশটিতে প্রবাসী কর্মী সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। খবর এএফপি।

chardike-ad

সৌদি আরবের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো তেল। বিশ্বব্যাপী তেলের দরপতনের পর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল রফতানিকারক দেশটি তেলের ওপর নির্ভরতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য অর্জনের লক্ষ্যে গত বছর দেশটি ‘ভিশন ২০৩০’ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগ ও ব্যবসা প্রসারিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব। এরই অংশ হিসেবে বেসরকারি খাতে আরো বেশি নিজেদের নাগরিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

এ বিষয়ে ১৭ বছর ধরে সৌদি আরবে কর্মরত জার্মান নাগরিক ডোমিনিক স্টেক বলেন, খরচ কমাতে সৌদি মালিকরা তাদের পশ্চিমা কর্মীদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সৌদি আরবে প্রবাসীদের জন্য ভালো সময় ফুরিয়ে আসছে। তাই তিনি তার স্ত্রী, স্কুলগামী সন্তান ও পালিত দুটি বিড়ালকে জার্মানি ফেরত পাঠানোর জন্য জাহাজে তুলে দিয়েছেন।

তেলের দরপতনের পর সৌদি আরবের বহুজাতিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সৌদি বিন লাদেনগ্রুপ একাই দরিদ্র দেশগুলো থেকে আগত প্রায় ৭০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। এছাড়া মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে কোম্পানিটিকে ভবিষ্যতে আরো অনেক পশ্চিমা প্রবাসী কর্মীদের ছাঁটাই করতে হতে পারে বলে জানা গেছে।

কনজিউমার ইলেকট্রনিকস খাতের এক প্রবাসী পরিচালক বলেন, প্রবাসীরা সৌদি আরব ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। কারণ এখন তাদের চুক্তি নবায়ন করার মতো যথেষ্ট ব্যবসায়িক অবস্থা নেই দেশটির। তিনি আরো বলেন, এখানে সবাই চাপের মধ্যে রয়েছে। এমন কোনো ব্যবসা নেই, যেটি ভালো চলছে।

চলতি বছরের জুলাইয়ে সৌদি আরবের প্রবাসীদের জন্য আরো খারাপ সময় আসতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ সেসময় সৌদি সরকার প্রবাসী কর্মী ও তার ওপর নির্ভরশীলদের ওপর কর আরোপের পরিকল্পনা করছে। সরকারি তথ্যমতে, শুরুর দিকে প্রতি মাসে ১০০ রিয়াল করে এ কর গ্রহণ করা হবে। ২০২০ সাল নাগাদ এ কর ৪০০ রিয়ালে দাঁড়াবে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে সৌদি আরবে প্রায় ৯০ লাখ প্রবাসী কর্মী রয়েছেন। তবে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার আগে ওই জরিপ চালানো হয়। তাই বর্তমানে দেশটিতে কত প্রবাসী কর্মী রয়েছেন, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।