চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঞ্চলে ন্যূনতম মজুরি কার্যকর হয়েছে। এখন থেকে এসব অঞ্চলের কর্মীরা ঘণ্টাপ্রতি আগের চেয়ে বেশি বেতন পাবেন। আভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তে এ মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এনবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলসে ছোট-খাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি ছিল ঘণ্টায় ১০.৫০ ডলার। এখন তা হয়েছে ঘণ্টাপ্রতি ১২ ডলার। যেসব প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২৬ জন বা তার বেশি কর্মী রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ মজুরি বাধ্যতামূক থাকবে।
তবে অঙ্গরাজ্যজুড়েই ঘণ্টাপ্রতি ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ ডলার।
সানফ্রান্সিসকোতে ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে করা হয়েছে ঘণ্টাপ্রতি ১৪ ডলার; যেটাকে যুক্তরাষ্ট্রে ঘণ্টাপ্রতি সবচেয়ে বেশি ন্যূনতম মজুরি বলা হচ্ছে।
চলতি বছর শেষে নিউ ইয়র্কের কোম্পানিগুলোকে ঘণ্টা প্রতি ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে ১৩ ডলার; যা বর্তমানে ১১ ডলার রয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে এ সিটিতে ন্যূনতম মজুরি হবে ১৫ ডলার। একই চিত্র দেখা যাবে সিয়াটল, লস অ্যাঞ্জেলস, ক্যালিফ, ক্যালিফোর্নিয়ায়।
শিকাগোতে এই মজুরি ১.৭৫ ডলার বাড়ানো হয়েছে। ওরিগানে মজুরি হচ্ছে ১০.২৫ ডলার; মেরিল্যান্ডে ৯.২৫ ডলার।
তবে এই মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ। তারা বলছেন, এতে শ্রমিকদের মুখে একদিকে হাসি ফোটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে কোম্পানি মালিকদের স্নায়ুচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে শ্রমিক ছাঁটাই হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী আছেন। সর্বোচ্চ ন্যূনতম মজুরি কার্যকর হওয়ায় তারাও উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৯ সালে ফেডারেল সরকারের সময় ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি পেয়ে ঘন্টায় ৭.২৫ ডলার হয়। এরপর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানরা কয়েক দফা চেষ্টা করেও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির বিল পাশে সক্ষম হননি। এমনি অবস্থায় অঙ্গরাজ্য এবং স্থানীয় প্রশাসনগুলো উদ্যোগ নেয় চলতি বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করার। যা কার্যকর হচ্ছে।