Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোরীয় উত্তেজনা: সব পক্ষকে শান্ত হবার আহ্বান জানাল চীন

north-korea-rocketউত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর অঞ্চলটিতে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে সব পক্ষকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে চীন। উত্তর কোরিয়ার মহড়ার পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) পাল্টা জবাব হিসেবে কোরীয় উপদ্বীপে যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেংগ সোয়াং সৃষ্ট উত্তেজনা থামাতে এক সংবাদ সম্মেলনে সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানান। চীন‍া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, উত্তর কোরিয়ার উপর জাতিসংঘের যে অবরোধ তা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলছে চীন।

chardike-ad

এদিকে ‘পরিস্থিতি বাধ্য করলে’ উত্তর কোরিয়ায় ‘বিবেচ্য সামরিক শক্তি’ প্রয়োগের হুমকি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৫ জুলাই) উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে এ কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে। তিনি বলেন, পিয়ংইয়ং এখনই পরিস্থিতির লাগাম না টানলে সামনে নতুন প্রস্তাবনা (সামরিক শক্তি প্রয়োগের) উত্থাপন করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষাকে নতুন সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা উল্লেখ করে হ্যালে উত্তর কোরিয়ার ওপর কড়া বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও হুমকি দেন।

হ্যালে বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ আমাদের কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনাকে দ্রুতই নিঃশেষ করে দিচ্ছে।…আমরা যদি বাধ্য হই তবে অবশ্যই আমাদের অন্যতম সক্ষমতা বিবেচ্য সামরিক শক্তির ব্যবহার করবো…। কিন্তু আমরা এই পথে না যেতেই চাইবো।

পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু বা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মঙ্গলবার জাপান সাগরে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এর আগেও সেখানে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আসছে পিয়ংইয়ং।

মঙ্গলবারের উৎক্ষেপণের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং তার দুই আঞ্চলিক জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়, এটি অগ্রহণযোগ্য উস্কানি।