সংযুক্ত আরব আমিরাত সফররত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সে দেশে বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি জনশক্তি নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাইস আল খাইমা প্রদেশের শাসক শেখ সৌদ বিন সাকর আল কাশিমির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান। মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রাইস আল খাইমায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য, বাণিজ্য ও জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন দুই নেতা।
এ সময় স্বাস্থ্যসহ আর্থ-সামাজিক খাতে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্য খাতের সাফল্যে ভূয়সী প্রশংসা করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরছেন। আমাদের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্যে এ সময় মন্ত্রী আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি আজ মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক উন্নত দেশে কাজ করে সেদেশগুলোর অগ্রগতিতে অবদান রেখে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেন আরো বেশি জনশক্তি রপ্তানি করা যায় সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করার জন্যেও রাস আল খাইমার শাসকের প্রতি অনুরোধ করেন মোহাম্মদ নাসিম।
শেখ সৌদ এ সময় বাংলাদেশে ঔষধ শিল্পসহ কয়েকটি খাতে আরব আমিরাতের চলমান বিনিয়োগের সাফল্য সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরো কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের যাতায়াত সহজ করাসহ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস প্রদান করে তিনি বলেন, শীঘ্রই বাংলাদেশের জন্য আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে সুসংবাদ আসবে। এ সময় তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সে দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
পরে মোহাম্মদ নাসিম রাইস আল খাইমায় জুলফার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রধান অফিস ও প্ল্যান্ট পরিদর্শনে গিয়ে বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত ২০ আগস্ট আরব আমিরাতে যান। আগামী ২৬ আগস্ট তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।







































