Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ট্রাম্প চাইলে উত্তর কোরিয়ায় যেতে আগ্রহী জিমি কার্টার

jimmy-carterক্রমেই বেড়ে চলা উত্তেজনা প্রশমনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইলে উত্তর কোরিয়া যেতে আগ্রহী প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। রোববার নিউ ইয়র্ক টাইমসের অনলাইন সংস্করণের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জর্জিয়ার প্লেইনসে নিজ বাড়িতে নিই ইয়র্ক টাইমসকে সাক্ষাৎকার দেন জিমি কার্টার। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এটি কি নতুন কূটনৈতিক মিশন কিনা এবং তিনি কি ট্রাম্পের পক্ষে এ কাজ করতে চান কি না। উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি যেতে পারি।’

chardike-ad

৯৩ বছর বয়সি কার্টার ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি জানান, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচআর ম্যাকমাস্টারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কিন্তু নেতিবাচক উত্তর এসেছে।

জিমি কার্টারের বন্ধু ম্যাকমাস্টার। নিউ ইয়র্ক টাইমসকে কার্টার বলেন, ‘আমি তাকে বলেছিলাম, যেকোনো সময় তাদের প্রয়োজন হলে আমি প্রস্তুত আছি।’

পরমাণু যুদ্ধের হুমকির বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাগযুদ্ধে ওয়াশিংটনের অনেকে উদ্বিগ্ন। কার্টার বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আমিও আতঙ্কিত।’

কিম জং-উনের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের বিষয়ে জিমি কার্টার বলেন, ‘তাদের বর্তমান ক্ষমতাসীন শাসন রক্ষা করতে চায় তারা। উত্তর কোরিয়ার ওপর চীনের প্রভাবকে আমরা অতিরঞ্জিত করে হিসাব করছি। যত দূর আমি জানি, বিশেষ করে কিম চীনের সঙ্গে অতটা ঘনিষ্ট নয়। তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। কিম জং-ইল চীনের কাছে গিয়েছিলেন এবং তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল।’

কিম জং-উনকে ‘ভবিষ্যৎ বলা যায় না- এমন ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে জিমি কার্টার বলেন, কিম যদি মনে করেন ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে কাজ করছেন, তাহলে তিনি অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারেন। কার্টারও বিশ্বাস করেন, কিমের হাতে এমন কিছু আধুনিক পরমাণু অস্ত্র আছে, যা দিয়ে কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় কিছু অঞ্চল এমন কি যুক্তরাষ্ট্রের মূলভণ্ড লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে।

নিই ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছিলেন জিমি কার্টার এবং উত্তর কোরিয়ার তৎকালীন নেতা কিম ইল-সাংয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন।