Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মোবাইলে নির্মিত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র যাচ্ছে অস্কারে

interiors-exteriors২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য অস্কারের ৯১তম আসরে যাচ্ছে মোবাইলে বানানো জিরো-বাজেটে নির্মিত বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ইন্টেরিয়র্স অ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’। মুঠোফোনে নির্মিত এই ছবিটি এরমধ্যে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য ডকুমেন্টারি ফিল্ম হিসেবে চেক রিপাবলিকে অনুষ্ঠিত জিলাভা ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভালের ‘ক্রাটকা রাডস্ট (শর্ট জয়)’ পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছে। ৩১ অক্টোবর এমনটাই জানিয়েছেন চলচ্চিত্রটির নির্মাতা আশিক মোস্তফা।

তিনি আরও জানান, ‘শর্ট জয়’ পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে আছে অনলাইন ডিস্ট্রিবিউশন এবং প্রচারণা বাবদ তিন হাজার ইউরো। এছাড়াও অস্কার মনোনীত ‘শর্ট জয়’ পুরস্কারপ্রাপ্ত ফিল্ম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডেরর শর্ট ডকুমেন্টারি বিভাগের জন্য প্রি-সিলেক্টেড হয়। সেই হিসেবে আগামী বছর অস্কারের ৯১তম আসরে ছবিটি প্রতিযোগিতা করবে স্বাভাবিক নিয়মে।

মোবাইল ফোনে ধারণকৃত জিরো-বাজেটে নির্মিত ‘ইন্টেরিয়র্স অ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’ ঢাকা শহরের প্রতিদিনকার দেখা একটি আপাত সাধারণ দৃশ্যের সূক্ষ্ম ও ব্যঞ্জনাময় উপস্থাপন। একটি মাত্র শটে নেওয়া ৮ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি যেন একটি চলমান স্থিরচিত্র যেখানে একই ফ্রেমে প্রতিফলিত হয়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক ধর্মচর্চা ও শ্রেণিবৈষম্যের ভেতর-বাহিরের একটি চিত্র। খনা টকিজের ব্যানারে ‘ইন্টেরিয়র্স অ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’ ছবিটি প্রযোজনা করেছেন নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন।

খনা টকিজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশিক মোস্তফা নিউ ইয়র্কের স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টস থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তখন গ্রাজ্যুয়েশন ফিল্ম হিসেবে তিনি ‘ফুলকুমার’ (২০০২) তৈরি করেন যা বাংলাদেশে শুট করা হয়েছিল। চলচ্চিত্র অঙ্গনে এখনো ‘ফুলকুমার’কে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে এই নির্মাতা শূন্য বাজেটে মোবাইল ফোনে ধারণ করা ‘ইনভেডিং প্রাইভেসি’ নামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ডকুমেন্টারি ছবির সম্পাদনার কাজ করছেন।