Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাড়ি নির্মাণে ‘সোলার টাইলস’, বদলে দিচ্ছে সবকিছু

solar-roofএকেক সময় একেকটি প্রযুক্তি দিয়ে পুরো বিশ্বকেই তাক লাগিয়ে দেওয়াই এলোন মাস্কের কাজ। তাঁর এসব প্রযুক্তির কোনোটি শেষ পর্যন্ত টিকে গেলেও কোনোটি আবার খুব একটা সুবিধা করতে পারে না। এজন্য অনেকেই তাকে ‘পাগলাটে’ বলেও আখ্যায়িত করে থাকেন।

শুধুমাত্র সৌরশক্তি দিয়েই পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলতে পারে, এমনটাই বিশ্বাস করেন এলোন মাস্ক। তাঁর মতে, এর জন্য দরকার হবে কেবল ১০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বসানো সোলার প্যানেল। আর তাতেই পুরো মার্কিন মুল্লুকের বিদ্যুতের চাহিদা মিটবে।

chardike-ad

তবে ১০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে সোলার প্যানেল বসাতে না পারলেও প্রতিটি বাড়িতে সোলার রুফ তৈরির কাজ ঠিকই শুরু করেছেন মাস্ক। গত বছরের শেষের দিকে এলোন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা বাজারে এনেছিল ছাদে ব্যবহারের জন্য সোলার টাইলস, পাওয়ার ওয়াল ২ এবং পাওয়ার প্যাক ২ ব্যাটারি। গত বছরই সোলারসিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে অধিগ্রহণ করেছিল টেসলা। এ প্রতিষ্ঠানটি মূলত ফটোভোল্টেক তৈরি করে থাকে। আর এরপর থেকেই সোলার টাইলস ব্যবহার করে সোলার রুফ নির্মাণে কাজ শুরু করে টেসলা।

tesla-solar-roofকী এই সোলার টাইলস?: এই সোলার টাইলস মূলত এক ধরনের সোলার প্যানেল। পুরো ছাদজুড়ে থাকবে এমন অনেক সোলার টাইলস যা পুরো ছাদকে পরিণত করবে সোলার রুফ বা ছাদে। তবে সাধারণ প্যানেলের থেকে এর গঠনে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এই সোলার রুফ সিস্টেমে আছে ফটোভোল্টেক সেল যা আবার রঙ্গিন ল্যুভর ফিল্ম ও গ্লাস টাইলস দিয়ে আবৃত।

দিনের বেলা এই সোলার রুফ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে যা জমা থাকবে টেসলা পাওয়ারওয়াল ব্যাটারিতে। বাসাবাড়ির জন্য ব্যবহার করা হবে ১৪ কিলোওয়াট ঘণ্টা ক্ষমতার একটি ব্যাটারি। তবে প্রয়োজন হলে আরও বাড়তি ক্ষমতার ব্যাটারিও ব্যবহার করা যাবে। দিনে সঞ্চিত এই বিদ্যুৎ দিয়েই মিটবে রাতের প্রয়োজন।

এলোন মাস্কের পরিকল্পনা: বর্তমানে উচ্চহারে ব্যবহৃত জীবাশ্ম জ্বালানীর যোগান ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। সৌরশক্তি হতে পারে জীবাশ্ম জ্বালানীর অন্যতম বিকল্প। মাস্কের মতে, আগামী ১৫ বছরের মধ্যে অবস্থা পুরো পাল্টে যাবে। তখন প্রতিটি বাড়িতে সোলার রুফ হবে একেবারে সাধারণ চিত্র।

তবে সোলার রুফ দিয়ে তৈরি বাড়ি কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ রাখছেন না মাস্ক। অস্ট্রেলিয়ার একটি উপশহরও এই পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হচ্ছে। সেখানে প্রতিটি বাড়িতে থাকবে টেসলার সোলার রুফ। আর তাই অনেকেই শহরটিকে ‘টেসলা টাউন’ বলেও অভিহিত করছেন।

সৌজন্যে: চ্যানেল আই অনলাইন