Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

গায়ের কালো রঙেই আজ তিনি বিখ্যাত

noakimকালো সে যতই কালো হোক/আমি দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ! গায়ের এই কালো রঙ নিয়ে কতই না হেনস্থা হয়েছেন তিনি। মুখ লুকিয়েছেন চোখের জলে। কিন্তু এ রঙই তাকে দিলো জগতজোড়া খ্যাতি, অর্থ, বিত্ত আর সম্মান।

দক্ষিণ সুদানের মেয়ে নেয়াকিম গ্যাটওয়েক, আন্তর্জাতিক মডেলিং দুনিয়ায় যার পরিচিতি ‘কুইন অফ দ্য ডার্ক’ নামে। যিনি ১৪ বছর বয়স পর্যন্তও জানতেন না ‘মডেল’ শব্দের অর্থ।

chardike-ad

নেয়াকিম গ্যাটওয়েক বলেছেন, জীবন আমাকে অনেক কিছুই শিখিয়েছে। আসলে কোনো কিছুই অবহেলার নয়। ধৈয্য এবং সততা মানুষকে সফলতা দেয়। দেয় বেচে থাকার প্রেরণা।

২০০৭ সালে মা ও ভাই-বোনদের হাত ধরে, খালি পায়ে এসে পৌঁছান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মেয়েটির বয়স তখন ১৪ বছর। দক্ষিণ সুদান থেকে প্রথমে ইথিওপিয়ার এক রিফিউজি ক্যাম্প। সেখান থেকে কেনিয়া হয়ে শেষে আমেরিকা। বর্তমানে তার বয়স ২৪ বছর। আর ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ।

অবাক হওয়ার মতোই ব্যাপার! যেখানে গায়ের রং নিয়ে উঠতে-বসতে টিকা-টিপ্পনির শিকার হতে হয় মানুষকে, তেমনই বিশ্বে এক কৃষ্ণকলির এমন সম্মান, সত্যিই প্রশংসনীয়।

আন্তর্জাতিক ফ্যাশন মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নেয়াকিম জানিয়েছেন, আমেরিকা এসে তিনি স্কুলে ভর্তি হন। সেখানে প্রথম দিকে তাকে গায়ের রঙের জন্য খুবই হেনস্থা হতে হয়। কিন্তু, তিনি হার মানেননি। স্কুল থেকে শিখেছেন অনেক কিছু।

নেয়াকিমের সাফল্যের প্রধান কারণ তিনি নিজেই বলেছেন। ‘আমি নিজেকে ভালবাসি। আমি ভালবাসি আমার গায়ের রং।’ তিনি মনে করেন, নিজেকে ভাল না বাসলে, অন্য কেউ আপনাকে ভালবাসবে না। আর নিজেকে ভালো না বাসলে অন্যকে ভালোবাসা যায় না।

আজ নেয়াকিম এক সফল মডেল। তাই তিনি চান বিশ্ব দরবারে সুদানের কথা তুলে ধরতে। তার ইচ্ছে, নিজের জন্মভূমির জন্য কিছু করার। বিশেষত, সেখানকার ছোট্ট ছোট্ট অসহায় মেয়েদের জন্য।

তিনি বলেন, হ্যা আমি আমারে দেশের মেয়েদের জন্য কিছু করতে চাই। তারা বড় কষ্টে আছে। অন্ধকারে আচ্ছন্ন তাদের জীবন। আমি তাদের আলোয় আনতে চাই।

সূত্র : আনন্দবাজার