Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রেমিকের মন পেতে ৩০ বার প্লাস্টিক সার্জারি

beriভালোবাসার মানুষের মন পেতে প্রেমিক-প্রেমিকারা কত কিছুই না করেন। এ নিয়ে গল্প-উপন্যাসও লেখা হয়েছে অনেক। প্রিয় স্ত্রীর জন্য সম্রাট শাহজাহানের তাজমহল এখনো প্রেমিক-প্রেমিকাদের নিকট দৃষ্টান্ত। কিন্তু প্রিয় মানুষের মন পেতে হংকংয়ের ২২ বছর বয়সি তরুণী বেরি এনজি যা করেছেন তা সত্যিই বিরল।

বেরি এক বার, দুই বার নয়, ত্রিশ বার মুখের প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন। তবে সার্জারির পর তার মধ্যে দেখা দেয় অনুশোচনা। ১৭ বছর বয়সেই নিজেকে পশ্চিমা সুপার মডেলের আদলে দেখার শখ জাগে বেরির। ওই সময় তার পাশের একটি বিউটি পার্লার সুন্দর হওয়ার জন্য লোভনীয় কয়েকটি প্যাকেজ তাকে দেখায়। প্রথমে ১০২ মার্কিন ডলারের একটি স্টুডেন্ট প্যাকেজ নিয়ে কথা হয় তার সাথে। এরপর ২১৭৫ মার্কিন ডলারের প্যাকেজ করানোর জন্য বেরিকে প্ররোচিত করে বিউটিশিয়ান। তাতেই প্লাস্টিক সার্জারিতে আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি।

chardike-ad

সার্জারির পর বেরি নিজের চেহারা দেখে ভীষণ খুশি। দিনের পর দিন তিনি সার্জারিতে আরো বেশি মন দেন। ২০ বছর বয়সে প্রেমে পড়েন বেরি। বয়ফ্রেন্ড ছিল তার থেকে নয় বছরের বড়। প্রায়ই তিনি বেরির চেহারা নিয়ে কটুকথা বলতেন, মাঝে মধ্যে অন্য নারীর সৌন্দর্য নিয়ে বেরির সামনে প্রশংসা করতেন। এগুলো সহ্য হতো না বেরির। রাগে-অভিমানে আরো প্লাস্টিক সার্জারি করান তিনি।

সার্জারির কোর্স হিসেবে ঠোঁট, গাল, থুতনিতে ক্রমাগত ইনজেকশন দিতে হয়েছে তাকে। ফলে ধীরে ধীরে তার চেহারা আরো বদলে যায়। চীনা মিডিয়াতে অনেকটা আফসোসের স্বরে বেরি বলেন, ‘এতকিছুর পরও সে আমাকে যদি বলতো তোমাকে সুন্দর লাগছে, তাহলে আমি সার্জারিটা বন্ধ করে দিতাম।’

এমনকি বেরির বয়ফ্রেন্ড তার স্তন নিয়েও প্রশ্ন তোলে। তার অভিযোগ বেরির স্তন ছোট। যদিও বেরির বর্তমান অবস্থা দেখে হতবাক হয়েছেন তার মা। মায়ের মন্তব্য: ‘আমার বেরি আগেই দেখতে সুন্দর ছিল।’ শেষমেশ বেরি বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। বর্তমানে তিনি ইউটিউবে প্লাস্টিক সার্জারির কুফল নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বেরি বলেন, ‘নিয়মিত এসব নিয়ে অনেকেই আমাকে মেইল করছে। আসলে বয়ফ্রেন্ডরা তাদের বান্ধবীদের ওপর অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করতে চায়। যেমন করে আমার বয়ফ্রেন্ড বলেছিল- আমার নাক বোঁচা, আমার মুখ বেশি বড়, স্তন ছোট।’

বেরির এখন একটাই চাওয়া। তার মতো যেন আর কাউকে এমন পরিণতি বরণ করতে না হয়। তার ইচ্ছা, নিজেকে আবার পুরনো রূপে দেখা। ‘আমি যা করেছি এটা মোটেও ঠিক করিনি। আমি আমার পুরনো চেহারা ফিরে পেতে চাই। আমার একটাই চাওয়া, আমার মতো কারো এমন পরিণতি যেন না হয়।’