Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘নাৎসি ক্যাম্পের চেয়েও ভয়াবহ উত্তর কোরিয়ার জেল’

north-koreaজেলের মধ্যে উত্তর কোরিয়া রাজনৈতিক বন্দিদের কি দশা করে তা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। এ নিয়ে অনেক ভয়ংকর তথ্যও জানায় মিডিয়া। এসব গল্প দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার সেই নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের কথাই মনে করিয়ে দেয়। নাৎসি ক্যাম্পগুলোতে বন্দিদের যে অত্যাচার করা হতো তার ভয়াবহতা যেন কোনো হরর মুভির গল্প। নাৎসি ক্যাম্প থেকে বেঁচে ফেরা এমন একজনের অভিমত, কিম জং-উনের কারাগার নাৎসি ক্যাম্পের চেয়েও ভয়াবহ।

থমাস বুয়েরজেন্থাল নামের ওই বন্দি একজন সাবেক বিচারক। তিনি বন্দি ছিলেন জার্মানির অসচিউইৎজ ক্যাম্পে। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস জাজ হিসেবে একযুগ ধরে কাজ করেছেন তিনি। থমাস দেখেছেন সেই সময়কার ভয়াবহ চিত্র। তিনি দেখেছেন নাৎসি ক্যাম্পে কেমন নির্যাতন চলত।

chardike-ad

সেই অভিজ্ঞ মানুষটির ভাষায়, উত্তর কোরিয়ার বন্দিশালা নাকি নাৎসিদেরও হার মানায়।

কিম জংয়ের জেলে আরো ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতন চলে। বলেন, তরুণ বয়সে আমি নাৎসি ক্যাম্পে ছিলাম। পরে দীর্ঘদিন মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেছি। ছোটবেলা থেকে তরুণ বয়স পর্যন্ত তিনি দুই দফায় অসচিউইৎজ এবং স্যাচসেনহসেন ক্যাম্পে কাটিয়েছেন।

সম্প্রতি বুয়েরজেন্থালের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল বার কাউন্সিল অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক বন্দিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে উত্তরো কোরিয়ার জেলগুলোতে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ৩০ হাজারের মতো বন্দি আছেন বলে জানানো হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার বন্দিদশা থেকে বিভিন্ন সময় পালিয়ে আসা বন্দি এবং জেলের সাবেক এক নিরাপত্তারক্ষীর বয়ান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন সময়ে গবেষণাকেও উৎস হিসেবে কাজে লাগানো হয়।

উত্তর কোরিয়ার চারচি জেলকে ‘টোটাল কন্ট্রোল জোনস’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে যারা যান তারা এ জীবনে আর বের হয়ে আসার স্বপ্ন দেখেন না। বিগত ৫০ বছরে উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন জেলে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দি দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। কয়েক প্রজন্ম ধরে বন্দি আছেন এমন পরিবারও আছে। তারা হয়তো ৫০ বছর ধরে এখানে বন্দি আছেন।

এসব জেলে বন্দিদের হত্যা, হাত-পা ভেঙে ফেলে রাখা, দাসত্ব বরণ করানো, অত্যাচার, যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চলে।
সূত্র : ইয়াহু