Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এবার ক্রিসমাসের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ কিমের

kimসম্প্রতি এক ঘোষণার মাধ্যমে ক্রিসমাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন উত্তর কোরিয়ার একচ্ছত্র অধিপতি কিম জং উন। আসন্ন ক্রিসমাসে দেশে কোনো ধরনের পার্টির আয়োজন চলবে না বলে জানিয়েছে দিয়েছেন তিনি। কোনো ধরনের মদ্যপান বা গানের আসরও বসবে না এ উপলক্ষে।

তবে কিমের এ ঘোষণার কথা মিডিয়ায় তুলে এনেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইন্টেলিজেন্স বিভাগ। অতি সম্প্রতি কিম এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস। আসলে উত্তর কোরিয়ার অফিসিয়াল সংবাদমাধ্যম থেকে কোনো ধরনের অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁসের ঘটনা রোধ করতেই এ ব্যবস্থা নিয়েছে তারা।

chardike-ad

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা আসন্ন মাসগুলোতে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই দেশটির জনগণ তাদের এক গ্যাঁড়াকলের মধ্যে পড়তে দেখবেন।

উত্তর কোরিয়াতে ক্রিসমাস বড় ধরনের ছুটির মৌসুম বয়ে আনে। দেশটির অনেক মানুষ খ্রিস্টিয় ধর্মে দীক্ষিত। অনেক আগে থেকেই তারা ধর্মীয় উৎসব তাই পালন করে আসছে।

গত বছরই এই উৎসব পালন আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে দেন কিম জং উন। যদিও সব নাগরিক এই উৎসবে সামিল হন। কিন্তু এবার ক্রিসমাস পালনের পরিবর্তনে ২৪ ডিসেম্বর তার দাদির জন্মদিন পালনের কথা বলেন কিম। ১৯১৯ সালের এই দিনটিতে এই নেতার দাদি জন্মগ্রহণ করেন।

অতীতেও কিম দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে ক্রিসমাসের আমেজ মুছে ফেলার পদক্ষেপ নেন। বহু বছর ধরে দক্ষিণ কোরিয়া ক্রিসমাসে ৩০ ফুট দীর্ঘ একটি গাছে আলোকসজ্জা করে। গাছটি পাহাড়াবিহীন সীমান্তে অবস্থিত। এই সজ্জা উত্তর কোরিয়া থেকেও দেখা যায়। কয়েক বছর আগে উত্তর কোরিয়া বলেন, গাছের এই আলোকসজ্জা বেশ কিছু ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা’র জন্ম দিয়েছে।