আসন্ন শীতকালীন আলিম্পিকে অংশগ্রহণ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার আলোচনায় বসছে দুই কোরিয়া। আলোচনার জন্য ইতিমধ্যে প্রতিনিধিদল ঘোষণাও করেছে উত্তর কোরিয়া। দীর্ঘ ২ বছর পর শুরু হওয়া এ আলোচনা সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যার ফলে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে।
গত ২ জানুয়ারি উত্তর কোরিয়াকে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার প্রস্তাব দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তরের নেতা কিম জং উন অলিম্পিকে দল পাঠাতে পারে এমন আভাসের পরই সিউল এ প্রস্তাব দেয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন এ আলোচনাকে যুগান্তকারী সুযোগ হিসেবে দেখছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে দুই কোরিয়ার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষার চালানোর পর থেকে দেশটিকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে আসছে দক্ষিণ কোরিয়া।
আগামী ৯-২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পিয়ংচ্যাং এ শীতকালীন অলিম্পিকের আয়োজন করছে সিউল। ৯-১৮ মার্চ শীতকালীন প্যারা অলিম্পিকও আয়োজন করতে যাচ্ছে দেশটি।
এমআইটির রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক ফ্রাবেল টেইলরের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনবিসি জানায়, ‘উত্তর কোরিয়া ব্যালাস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র ও পারমাণবিক কর্সূচিতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত হানতে পারে এমন পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পর পিয়ংইয়ং আলোচনার বিষয়ে একটু বেশিই আগ্রহী বলে আমার মনে হয়’।
চীনের সাংহাইতে এক কনফারেন্সে তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবারের আলোচনায় তিনি খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করছেন না। এ আলোচনার কেন্দ্রে শীতকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ প্রাধান্য পাবে বলে তিনি অভিমত দেন।
যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক পরিচালনা বোর্ডের এ সদস্য জানান, এখন দেখার বিষয় হচ্ছে দ্বিতীয় পর্যায়ের কোনো আলোচনা হয় কিনা। এক বৈঠকেই সব সমাধান হয়ে যাবে এমনটা মনে করেন না ফ্রাবেল। তিনি বলছেন, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে উত্তর কোরিয়া কত দূর যায় সে পর্যন্ত।
অলিম্পিক আয়োজনের এ প্রস্ততি চলাকালে দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনার পরিমাণ একটু কমই লক্ষ্য করা গেছে। ফ্রাবেল বলেন, কিম পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি অলিম্পিক খেলা চালিয়ে নিতে আগ্রহী। এই অলিম্পিক খেলা আন্ত:কোরীয় সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ফ্রাবেল।