Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

nahidশিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। ২০০৯ সালের পর থেকে শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন দেশ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনুসরণ করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, আমরা জ্ঞান-প্রযুক্তি রপ্তানি করবো। আমরা চিরকাল আমদানী করেছি, এখন রপ্তানী করতে চাই। আমাদের নতুন প্রজন্ম মেধার দিক দিয়ে দরিদ্র নয়। আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলা।

chardike-ad

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা অত্যন্ত মেধাবী। কারণ তোমরা কয়েকহাজার মেধাবী শিক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার মধ্য দিয়ে তোমাদের কাজ শেষ হয়ে যায়নি। তোমাদেরকে নিয়ে বাবা-মায়ের অনেক স্বপ্ন। কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়াকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। তাছাড়া দেশের প্রতিও তোমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তোমাদের মনে রাখতে হবে, এদেশের খেটে খাওয়া মানুষদের কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত টাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয়।

শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বুধবার বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবদুল গনি। বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ।

এদিকে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। বিশ্ববিদ্য্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও সেখানে শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তিকৃত ১৭শত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনশতাধিক শিক্ষার্থীই মিলনায়তনের বাহিরে অবস্থান করে। তাদের মিলনায়তনের সিঁড়িতে বসা অবস্থায় দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্যও পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করা হয়নি। এসময় বেশ কয়েকজন বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্টসহ শিক্ষকদের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে দেখা যায়।

সৌজন্যে- যুগান্তর