অনলাইন প্রতিবেদক, ৬ নভেম্বর ২০১৩:
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সী (এনএসএ) কর্তৃক দক্ষিণ কোরিয়াকে গোপন অনুসন্ধানের জন্য ‘উপযুক্ত স্থান’ হিসেবে অভিহিত করার বিষয়ে গণমাধ্যমে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সে ব্যাপারে ওয়াশিংটনের কাছে যথাযথ ব্যাখ্যা দাবী করেছে সিউল। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে কোরিয়া সরকারের তরফে এ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। একইসাথে এ ঘটনার নেপথ্য কারণ ও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি সুরাহা করতে যুক্তরাষ্ট্র কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। অপর একজন সরকারী কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, সিউল থেকে প্রেরিত ওই বার্তায় বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে ওয়াশিংটনের তরফে শক্ত পদক্ষেপ দাবী করা হয়েছে। এদিকে পর্যবেক্ষকরা আশংকা করছেন কোরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে এমন নজিরবিহীন কড়া প্রতিক্রিয়া দু’দেশের বর্তমান সৌহার্দ্যপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এনএসএ’র দুই সহস্রাধিক গোপন নথি প্রকাশ করেছে যেগুলোর একটিতে সংস্থাটির বিভিন্ন দেশে গুপ্তচরবৃত্তিক বিশেষ অভিযান ‘সিগিন্ট’ (SIGINT) –এর জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘ফোকাস এরিয়া’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত জুলাই মাসে এনএসএ কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ কোরিয়াসসহ ৩৮টি দেশের দূতাবাসে ফোনে আড়িপাতার বিষয়টি গণমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। এছাড়া গত মাসে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন অনুসারে, এনএসএ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গুণ হে সহ অন্তত ৩৫ জন রাষ্ট্রপ্রধানকে গোপন নজরদারির মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগের দুটি প্রতিবেদনের বিষয়েও সিউলের তরফে একইভাবে বার্তা পাঠিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাঁদের গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়া হয়। তবে মঙ্গলবারের সর্বশেষ বার্তা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি।