কুয়েতে বাংলাদেশি বাংলাদেশী নিষিদ্ধের খবর পুরোপুরি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ খাঁন। গত ৫ মার্চ আরব টাইমস ও কুয়েত টাইমসসহ দেশটির একাধিক দৈনিক পত্রিকায় কুয়েতের শ্রমবাজার ফের বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয়েছে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর দেশে ও কুয়েতে বাংলাদেশি বিভিন্ন মহলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার বিকেলে কুয়েতে বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধের ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ খাঁনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খবরটি পুরোপুরি সঠিক নয়, তবে কুয়েতে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধের খবরটি জানার পর আমরা রেসিডেন্সি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছি।
এতে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি যে, এখানে শুধুমাত্র কিছু বিধি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাও সাময়িক সময়ের জন্য। শুধু ২০ নম্বর আকামার খাদেম (বাসার) ভিসার ক্ষেত্রে, বাকি অন্য সব ভিসা আগের মতোই চালু রয়েছে।
খাদেম ভিসার মাধ্যমে কুয়েতে বিদেশি গৃহকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী, একটি কুয়েতি পরিবার এই ভিসায় এক দেশ থেকে কেবল একজনকে কাজে নিতে পারে। কিন্তু কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখতে পেয়েছে, ২০১৬ সালে তাদের শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য আবার খোলার পর থেকে খাদেম ভিসার ক্ষেত্রে অনেক অনিয়ম হয়েছে। পারস্পরিক যোগসাজশে এক পরিবারে একাধিক কর্মী নেয়া হয়েছে। সেখানে যাওয়ার পর অনিয়মিত হয়ে গেছে, তারা আবার অন্য কাজে যোগ দিয়েছে, যা কুয়েত আইনে অবৈধ।