Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আহত শাহরীন ঢাকায়

shahreen-ahmedনেপালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় আহত শাহ‌রিন আহমেদকে ঢাকায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৪৮ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি০০৭২ ফ্লাইটে তাকে ঢাকা আনা হয়।

পরে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সে করে শাহ‌রিন আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়া হচ্ছে।

chardike-ad

নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস জানিয়েছেন, কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে- কিছু দিনের মধ্যে সবাই দেশে ফিরতে পারবেন।

কাঠমান্ডুতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১০ বাংলাদেশি। এর মধ্যে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-কেএমসিতে চিকিৎসাধীন শাহরিন আহমেদ, আলমুন নাহার অ্যানি, কামরুন্নেসা স্বর্ণা ও মেহেদী হাসানকে বাংলাদেশে আনার ব্যাপারে অনাপত্তি দেয়া হয়েছে।

তারা যে কোনো মুহূর্তে দেশে ফিরতে পারবেন। এর মধ্যে শাহরিন আহমেদকে নিয়ে আজই দেশে ফিরছেন তার ভাই লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরফরাজ আহমেদ। বাকি তিনজনকেও শিগগিরই দেশে পাঠানো হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস।

শাহরিন দেশে ফেরার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হবে বলে জানান এর সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আজ এক রোগী আসবেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। বার্ন ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর রায়কেও বলা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত আছে। দেশে এলেই তাকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হবে।

কাঠমান্ডুর ওম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডা. মো. রেজওয়ানুল হককে বুধবার সিঙ্গাপুরে নিয়ে গেছেন তার বাবা মোজাম্মেল হক।

নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইয়াকুব আলী ও কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক এমরানা কবির হাসিকে দিল্লিতে পাঠানো হবে।

এর মধ্যে ইয়াকুবকে চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিয়েছেন। তবে ফুসফুসসহ ৩৫-৪০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া হাসির অবস্থা সংকটাপন্ন।

বাকি তিন বাংলাদেশির কাঠামান্ডুতেই চিকিৎসা চলবে। এর মধ্যে শেখ রাশেদ রুবাইয়াত ও কবির হোসেন কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে এবং মো. শাহীন বেপারি এ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন।

স্থানীয় সময় সোমবার বেলা ২টা ১৮ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় ইউএস-বাংলার বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ মডেলের এস২-এজিইউ বিমান।

বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এতে বিমানে আরোহীর মধ্যে ২৫ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হয়েছে। ২০ জনকে আহত অবস্থায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ১০ বাংলাদেশিকে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।