সিউল, ২৭ নভেম্বর ২০১৩:
পর্যটক সমাগম বাড়াতে ভিসার নিয়মকানুন শিথিল করছে সৌদি আরব। আগামী মাস থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে দেশটি। ফলে ধর্মীয় কাজে আসা বিদেশী নাগরিকরা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দেশটির ঐতিহাসিক ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোয় ভ্রমণ করতে আরো কিছু দিন বেশি সময় পাবে। সৌদি কমিশন ফর ট্যুরিজম অ্যান্ড অ্যান্টি-কোটিসের (এসসিটিএ) প্রধান প্রিন্স সুলতান বিন সালমান এ তথ্য জানান। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেসের।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এক্সটেন্ডেড ওমরাহ টুরিজম প্রোগ্রাম’-এর আওতায় ভ্রমণকারীরা আরো বেশি সময় ধরে সৌদি আরবে অবস্থানের সুযোগ পাবে। প্রিন্স সুলতান আরো জানান, মোট ৬৫টি দেশের নাগরিকদের জন্য এ সুবিধা দেয়া হবে। তবে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
নতুন নিয়মের আওতায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩০ দিন বেশি অবস্থান করতে পারবে তারা এখানে। আগে ওমরাহের জন্য আসা বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ওমরাহ শেষ হওয়ার পরে বেশি দিন আর অবস্থানের সুযোগ পেতেন না। তবে বর্তমানে ওমরাহের ভিসার মেয়াদ শেষ হলে তা পর্যটন ভিসায় রূপান্তর হয়ে যাবে।
বর্তমানে কোনো দেশকে পর্যটন ভিসা দেয় না সৌদি আরব। তবে জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকরা দেশটিতে ভিসামুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। বর্তমানে পর্যটন ব্যবসা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর আয়ের অন্যতম একটি মাধ্যমে রূপান্তর হয়েছে। গত বছরে পর্যটন থেকে সৌদি আরবের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে ১০ শতাংশ। এর আর্থিক পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ১৮০ কোটি সৌদি রিয়াল (১ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার)।
তবে এর পেছনে দেশটিতে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধিকে তুলে ধরেন বিশ্লেষকরা। মাসব্যাপী এ ভিসা দেশটিতে পর্যটন আকর্ষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন প্রিন্স সুলতান। বর্তমানে তারা ইসলামিক বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা উন্নয়নের দিকে মনোযোগ বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে নতুন নতুন জাদুঘর ও এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের দিকেও ঝুঁকছে দেশটি।
পাশাপাশি সৌদি সরকার দেশটির জাদুঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করেছে বলে জানান প্রিন্স সুলতান। এ স্থাপনাগুলোর অধিকাংশই মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত। অন্যদিকে ছোট ছোট গ্রামগুলোয় বিভিন্ন হেরিটেজ হোটেলও গড়ে তোলা হচ্ছে। পর্যটন খাতটি দেশটির স্থানীয়দের বেকারত্ব দূর করার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন প্রিন্স সুলতান। বর্তমানে সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্ খাত পর্যটন। কিন্তু দেশটির অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেও এ খাত এখনো রয়ে গেছে নজরের বাইরে। দেশটির এ খাতকে আরো শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। সূত্রঃ বণিকবার্তা।