১৫ ডিসেম্বর ২০১৩, সিউল:
বিদেশী প্রতিনিধিদের দুই কোরিয়ার যৌথ শিল্পাঞ্চল কাইসং পরিদর্শন বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। এর আগে সামরিক উত্তেজনার জেরে শিল্পাঞ্চলটি পাঁচ মাস বন্ধ ছিল। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়ার। বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদের এ সফরে যোগ দেবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩০ জন প্রতিনিধি। চলতি মাসের ১৯ তারিখে এ পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জংয়ের খালু জ্যাং সং ট্যাককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। কিমের সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টার মৃত্যুর ফলে দেশ দুটির মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনায় তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুনঃএকত্রীকরণ মন্ত্রণালয়।
বিদেশী প্রতিনিধিদের মধ্যে বিশ্বের ২০টি শীর্ষস্থানীয় দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীরা থাকবেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধিরাও থাকবেন বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার পুনঃএকত্রীকরণ মন্ত্রণালয়।
কাইসং শিল্পাঞ্চলটি উত্তর কোরিয়ার ১০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত। ২০০৪ সাল থেকে এ শিল্পাঞ্চল কার্যক্রম শুরু করে। দুই কোরিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতীক হিসেবেই শিল্পাঞ্চলটি চালু হয়। তবে এখনো উত্তর কোরিয়া তাদের ইচ্ছামতো এ শিল্পাঞ্চলের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছে। গত এপ্রিলে দেশটি তাদের ৫৩ হাজার কর্মী প্রত্যাহার করে নেয় কাইসং থেকে। ফেব্রুয়ারিতে তাদের তৃতীয় পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ কাজ করে উত্তর কোরিয়া।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শিল্পাঞ্চলটির কার্যক্রম আবারো চালু করতে সম্মত হন দুই কোরিয়ার নীতিনির্ধারকরা। তবে এখনো এ বিষয়ে খুব কমই অগ্রসর হতে পেরেছেন তারা। তবে কাইসংকে বিশ্বায়নের অংশ করতে দক্ষিণ কোরিয়াই বেশি আগ্রহী। কেননা, এটি সম্ভব হলে উত্তর কোরিয়া তাদের ইচ্ছামতো একে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। কাইসংয়ের প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার আগ্রহের কারণও রয়েছে। এ শিল্পাঞ্চলে তারা বেশ কম খরচে দক্ষ শ্রমিক পায়।
অন্যদিকে এখানে বিনিয়োগ করলে দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানিগুলো সরকার থেকে বিশেষ সুবিধাও পায়। এর মধ্যে কর বাতিল, শিল্পাঞ্চলটি বন্ধ থাকার সময়ে সরকারি বীমা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও সহজ শর্তে ঋণ অন্যতম। তবে এ শিল্পাঞ্চলের অস্থিতিশীলতাই বিনিয়োগকারীদের মাথা ব্যথার মূল কারণ। সূত্রঃ বণিকবার্তা।