আজ পবিত্র জুমা মোবারক। মুসলমানদের জন্য দিনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই দিনটিকে মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিনও বলা হয়। এই দিনের দুটি বিশেষ ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে অত্র লেখাতে।
১) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমআর দিনে ফেরেশতাগণ বিশেষ রেজিস্টার নিয়ে মসজিদের প্রতিটি দরজায় দাঁড়িয়ে যান। তাঁরা মসজিদে আগমনকারী মুসল্লিদের নাম পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধ করতে থাকেন। অতঃপর যখন ইমাম সাহেব এসে যান, তখন তারা রেজিস্টার বন্ধ করে খুতবা শুনতে থাকেন।
যে সবার আগে মসজিদে প্রবেশ করে, সে একটি উট আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব লাভ করে। যে দ্বিতীয়তে প্রবেশ করে, সে একটি গরু আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব পায়। যে ৩য় তে প্রবেশ করে, সে একটি দুম্বা আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব পায়। যে চতুর্থতে প্রবেশ করে, সে একটি মুরগি আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব লাভ করে। আর যে পঞ্চমে প্রবেশ করে, সে একটি ডিম আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব পায়। (মুসনাদে শাফী : ৬২, জামে লি ইবনে ওহাব : ২২৯, মুসনাদে হুমাইদি : ৯৬৩)
২) হযরত সালমান (রাঃ)থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোন ব্যক্তি যদি জুমআর দিন গোসল করে, যতদূর সম্ভব পবিত্রতা অর্জন করে, নিজের তেল থেকে তেল ও নিজের ঘরের সুগন্ধী থেকে সুগন্ধী মাখে, অতঃপর নামাযের জন্যে এমনভাবে বের হয় যে কোন দুই ব্যক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে না, অতঃপর যে নামায ফরজ করা হয়েছে তা পড়ে, অতঃপর ইমাম যা বলেন তা মনোযোগ দিয়ে শোনে, তার ঐ জুমআ ও পরবর্তী জুমআর মধ্যবর্তী যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারী ও নাসায়ী শরিফ)
সৌজন্যে- ইনসাফ