Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

গিনেস বুক রেকর্ডে হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি সুদর্শন দাশ

pandit-sudorshon-das
ড্রাম বাজাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পণ্ডিত সুদর্শন দাশ।

টানা তৃতীয়বারের মতো গিনেস বুক রেকর্ডে নাম লেখাতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণ পণ্ডিত সুদর্শন দাশ। দীর্ঘ ২৫ দিন তবলা ও ২৭ ঘণ্টা ঢোল বাজানোর দুটি বিশ্ব রেকর্ড আছে তার ঝুলিতে। এবার টানা ১৪ ঘণ্টা ড্রাম বাজিয়ে তৃতীয়বারের মতো গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের হ্যাটট্রিক গড়তে যাচ্ছেন তিনি।

বুধবার বিকেল থেকে পূর্ব লন্ডনের কর্মাশিয়াল রোডস্থ লন্ডন এন্টারপ্রাইজ স্কুলের হল রুমে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ড্রাম বাজাতে শুরু করেন সুদর্শন। টানা ১৪ ঘণ্টা বাজিয়ে ড্রাম বাজিয়ে শেষ করেন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে। শেষ মুহূর্তে উপস্থিত ছিল স্কুলের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরা।

chardike-ad

ড্রাম বাজিয়ে গিনেস বুক রেকর্ড হবে এই প্রথম। এর আগে কেউ এই রেকর্ড করতে পারেনি। এই রেকর্ডের পার্থক্য হচ্ছে অন্যান্য রেকর্ডের সময় ঘণ্টায় ৫ মিনিট ব্রেক নেয়া গেলেও এবার ছিল না কোনো ব্রেক নেয়ার অবকাশ। ফলে ড্রাম বাজানো অবস্থায়ই তাকে পানিসহ তরল খাবার খেতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই একটানা ১৪ ঘণ্টা ড্রাম বাজানো শেষ করেছেন তিনি।

ড্রাম বাজানো শেষে সকল তথ্য প্রমাণ আনুষ্ঠানিক গিনেস বুক রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো পক্রিয়া শুরু করেছেন সুদর্শন। কিছু দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে কর্তৃপক্ষ তার এই স্বীকৃতি দিবে বলে মনে করেন তিনি।

তবে এবারের রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জটি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন সুদর্শন দাশ। তিনি রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য আড়াই হাজার পাউন্ড (প্রায় তিন লাখ টাকা) সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার মাধ্যমে এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে জানান তিনি।

পণ্ডিত সুদর্শন পূর্ব লন্ডনের তবলা অ্যান্ড ঢোল একাডেমির অধ্যক্ষ। তার প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বাদ্যযন্ত্রে তাল তোলার কসরত শিখছেন। পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস, নিউহ্যাম এবং রেড ব্রিজ কাউন্সিলের অধীনে তিনি স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোর ‘মিউজিক ইন্সপেক্টর’ হিসেবে কাজ করেন।