Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোরিয়ায় ইপিএস কর্মীদের চাহিদা একবছরে অস্বাভাবিক হারে কমেছে

গত এক বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় ইপিএস কর্মীদের চাহিদা অস্বাভাবিকহারে কমেছে। ২০১৭ সালে ইপিএস কর্মীর জন্য আবেদন করেছিল এমন ৯ হাজার ৭৩৮টি কোম্পানী এইবার কোন ইপিএস কর্মীর জন্য আবেদন করেন নি।  ফলে এক বছরের ব্যবধানে ইপিএস কর্মীদের জন্য আবেদন ২২৯.৩ শতাংশ থেকে কমে ১৪০.২ শতাংশে নেমেছে।

chardike-ad

মুলত ছোট এবং মাঝারি কোম্পানীগুলো বিদেশী কর্মী নিয়োগ করে থাকে। গত বছর পর্যন্ত অনেক চাহিদা থাকলেও দ্রুত কমে যাওয়ায় কারণ চিহ্নিত করার জন্য একটি জরিপ চালিয়েছে কোরিয়া স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ। জরিপের উপর গতকাল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে অতিরিক্ত বেতন বৃদ্ধি এবং ব্যবসায় মন্দাকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।   

জরিপে ৫৫৭ টি কোম্পানীর মধ্যে ৩৮.৩ শতাংশ কোম্পানী বলছে তাদের কর্মী দরকার হলেও বেতন বৃদ্ধির কারণে নিয়োগ দিবে না এবং সেজন্য আবেদন করেনি। ২৪.১ শতাংশ কোম্পানী ব্যবসায় মন্দার কারণে কর্মীর দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছে। .

বিদেশী কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন না করার জন্য আরো কিছু কারণ দেখিয়েছে কোম্পানীগুলো। কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বিদেশী কর্মীদের সাথে ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত যোগাযোগের সমস্যা, কম উৎপাদনশীলতা, ঘন ঘন কোম্পানী পরিবর্তন, থাকা খাওয়া, এবং ইন্সুরেন্সের খরচ বহন করা, বিদেশী কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়াগত জটিলতা এবং নিয়োগের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করা ইত্যাদি।

চলতি বছরের জুলাই মাসে কোরিয়ায় সর্বনিন্ম মজুরী ঘন্টায় ৮,৩৫০ উওন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকেই  ছোট এবং মাঝারি কোম্পানীগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছিলো। বিদেশী কর্মীর জন্য আবেদন কমে যাওয়া সর্বনিন্ম মজুরী বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রভাব বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।