সিউল, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪:
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে জানুয়ারি পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। জানুয়ারিকে সবেচেয় রক্তক্ষয়ী মাসের একটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সহিংসতায় এখনও অনেক বেসামরিক নাগরিক মারা পড়ছেন। একটি এনজিও এতথ্য জানিয়েছে। জেনেভায় ১০ দিন ধরে চলা সিরিয়া শান্তি আলোচনায় কোন বাস্তব ফল না আসায় দেশটিতে শান্তির প্রত্যাশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। সিরিয়া সরকার ইতোমধ্যে বলেছে, তারা ফের আলোচনার টেবিলমুখী হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, জানুয়ারির শেষ নাগাদ সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২শ’ ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। সংস্থার পরিচালক রামি আব্দেল রহমান বলেন, ২০১১ সালের মার্চে সহিংসতা শুরুর পর থেকে রক্তক্ষয়ী মাসগুলোর মধ্যে জানুয়ারি অন্যতম।
তবে প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে। কারণ এ সংখ্যা নিয়ে বিদ্রোহী, জিহাদি ও সরকার কঠোর গোপনীয়তার রক্ষা করে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারি বাহিনীর অভিযানের প্রেক্ষাপটে সংঘাতের শুরু যা পরবর্তীতে সশস্ত্র অভ্যূত্থানে পরিণত হয়। এতে অসংখ্য লোক আহত ও লাখ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়।
গত শনিবার উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো নগরীতে হেলিকপ্টার থেকে ব্যারেল বোমা নিক্ষেপ করা হলে কমপক্ষে ৪৬ বেসামরিক লোক নিহত হয়। রামি আব্দেল রহমান বলেন, কেবল তারেক আল-বাব এলাকায়ই ৩৩ বেসামরিক লোক নিহত হয়। আলেপ্পোয় জোড়া গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৭ জন নিহত হয়। বিদ্রোহীদের একটি দপ্তর লক্ষ্য করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক ও লেভ্যান্ট এ হামলা চালায়।
মধ্যাঞ্চলের হামা প্রদেশের মোরেক শহরে কমপক্ষে ১২ সরকারি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এদিকে সিরিয়ার সরকার ও বিরোধী পক্ষ এবং বিদেশী শক্তি এখন সংঘাত বন্ধে জেনেভায় ১০ দিনের বৈঠকের মূল্যায়ন করছেন। বৈঠকে অর্জন বলতে কিছুই হয়নি। অন্যদিকে পরবর্তী বৈঠকের প্রত্যাশাও অনিশ্চিত।