হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অরিজিনাল পিস্তল নিয়ে বিনা বাধায় স্ক্যানিং মেশিন পার হলেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। মঙ্গলবার বিকেলে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে তার চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দরের গেটে থাকা স্ক্যানারে বিষয়টি ধরা পড়েনি। বিমানবন্দরের একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে আসেন ইলিয়াস কাঞ্চন। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের প্রথম গেটের স্ক্যানার মেশিনের নজর এড়িয়ে ৯ এমএম পিস্তল আর ১০ রাউন্ড গুলি ব্যাগে নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর নভো এয়ারের বুকিং কাউন্টারে গিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, তার সঙ্গে পিস্তল আছে যা স্ক্যানারে ধরা পড়েনি। তিনি পিস্তলটি সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে যেতে চান।
বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন শাহজালাল বিমানবন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাদের মধ্যে ছিলেন মেম্বার সিকিউরিটি শাহ এমদাদুল হক, বিমানবন্দরের পরিচালকসহ (নিরাপত্তা) বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা। এ ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৫ কর্মীকে সঙ্গে সঙ্গেই বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রথম স্ক্যানিং করা হয় এয়ারপোর্টের নিরাপত্তার জন্য। আর দ্বিতীয় স্ক্যানিং হচ্ছে আইকাউ অনুযায়ী বিমানের নিরাপত্তার জন্য। প্রথম স্ক্যানিংয়েই ইলিয়াস কাঞ্চনের ব্যাগে থাকা পিস্তল ধরা পড়েনি এটা দুঃখজনক। বিষয়টি ধরা পড়া উচিত ছিলো।
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে ইলিয়াস কাঞ্চন নিজেই পিস্তল থাকার কথা স্বীকার করেন। আমাদের এয়ারপোর্টের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। এরপরও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
তবে প্রথম স্ক্যানারে পিস্তলের অস্তিত্ব ধরা না পড়ার বিষয়টি স্বীকার করেও ভিন্ন কথা বলছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তারা বলছে, ইলিয়াস কাঞ্চনের বলার আগেই বিমানবন্দরের দ্বিতীয় স্ক্যানারে পিস্তল থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার মধ্য দিয়ে পিস্তলসহই তাকে যেতে দেওয়া হয়।
সাধারণত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ম অনুযায়ী, কেউ বৈধ অস্ত্র নিয়ে বিমানে ভ্রমণ করতে চাইলে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রবেশের আগেই বিষয়টি জানাতে হবে। সেই সঙ্গে স্ক্যানারে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের কাছেও বৈধতার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।