ঠিকাদাররা শুধু নির্মাণ করেই দায়িত্বপালন করেন। সেতুর দুপাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় গত ৩ বছর ধরে সেতুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এটি এখন এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না।
ডায়া ঘোনাপাড়া গ্রামের আবদুল মালেক, ফখরুল ইসলাম, মনজেল হোসেন, সুজন মিয়া, রজিনা খাতুন, খাদিজা খাতুন, শাহনাজ বেগম বলেন, গত ২০১৬-১৭ ইং অর্থবছরে ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে শাহজাদপুর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মাণ করেন। সেই থেকে গত ৩ বছরেও এ পরিত্যক্ত সেতুটির দুপাশে কোনো সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি।
সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুটিতে উঠতে মই ব্যবহার করতে হয়। মই ছাড়া সেতুটিতে ওঠা যায় না। ফলে পরিত্যক্ত সেতুটি এলাকাবাসী এখন গোবরের ঘোষি, ভেজা কাপড়, লেপ, তোশক, কাঁথা-বালিশ, চট, ছালা শুকানোর কাজে ব্যবহার করছেন। এ জন্য তারা সেতুটির উত্তর পাশে একটি কাঠের মই স্থাপন করে নিয়েছেন। এ মই দিয়ে উঠেই এলাকাবাসী তাদের এ প্রয়োজনীয় কাজগুলো প্রতিদিন সারছেন।
অপর দিকে বর্ষায় নৌকায় ও শুষ্ক মৌসুমে সেতুটির নিচ দিয়ে পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, এতে তাদের ধন চালের বোঝা, খইল ভুসির বস্তা মাথায় নিয়ে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। তাই তারা অবিলম্বে এ সেতুটির দুপাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ সরকার বলেন, এলাকাবাসী মাটি না দেয়ার কারণে সংযোগ সড়ক নির্মাণ সম্ভব হয়নি। আগামী সেশনে কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পর শ্রমিক দিয়ে সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এতে কাজ না হলে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে অচিরেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।