Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

newzealand-bangladeshiকর্মচারী নির্যাতনের অভিযোগে নিউজিল্যান্ডে এক বাংলাদেশি দম্পতিকে জেল দিয়েছে দেশটির আদালত। কারাদণ্ড পাওয়া মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম ও নাফিসা আহমেদ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।

নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম স্টাফের অনলাইনে বলা হয়, ওই দম্পতি বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে তাদের নামমাত্র পারিশ্রমিকে কাজ করাতেন। অতিরিক্ত সময়ও কাজ করাতেন। বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অকল্যান্ড জেলা আদালত সাজা দেন।

chardike-ad

মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে চার বছর এবং পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর নাফিসা আহমেদকে দেওয়া হয় দুই বছর ও ৬ মাসের কারাদণ্ড। তারা দুজনেই নিউজিল্যান্ডের নাগরিক।

বিচারক ব্ররোক গিবসন বলেন, উচ্চ শিক্ষিত আতিকুল ও নাফিসা দীর্ঘদিন ধরে নিউজিল্যান্ডে ব্যবসা করে আসছেন। এ দম্পতি দেশটির শ্রম আইন সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন। আদালতে উপস্থাপিত প্রমাণাদিতে দেখা গেছে, ব্যবসায়িক লাভের আশায় এ দম্পতি সুপরিকল্পিতভাবে কর্মচারীদের নির্যাতন করেছেন। নিজ দেশের মানুষের সঙ্গে এমন আচরণ অত্যন্ত লজ্জাজনক।

আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্রমিক নির্যাতনের ১০টি, অভিবাসন সংক্রান্ত সাতটি ও আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টার তিনটি অপরাধ প্রমাণিত হয়। আর তার স্ত্রী নাফিসা আহমেদের বিরুদ্ধেও যৌথভাবে পাঁচ কর্মচারীকে সাতটি নির্যাতনের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়।

নিউজিল্যান্ডে এ দম্পতির রয়েল ইন্ডিয়ান সুইট এবং ক্যাফে রয়েছে। এটি অনেকের কাছেই রয়েল বেঙ্গল ক্যাফে নামে পরিচিত। তাদের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। ওই দোকানের দুই শেফ নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সমস্যার কথা জানিয়ে অভিযোগ করে। এরপরই কর্মচারী নির্যাতনের এ ঘটনা সামনে আসে।

সংবাদমাধ্যম স্টাফের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে ওই দুই শেফ নিউজিল্যান্ড যান। সেখানে যাওয়ার পরপরই তাদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেন আতিকুল ও নাফিসা।

ক্যাফের কর্মচারীরা টানা কাজ করতেন। তারপরেও তাদের মাত্র এক ঘণ্টার ছয় ডলার দেওয়া হতো। বাকি সময় বা ছুটির দিন কাজের জন্য তারা কোনো মজুরি পাননি।