সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রতি ঘণ্টায় হাসপাতালগুলোতে একশর বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৩৪৮ জন অর্থাৎ গড়ে প্রতি ঘণ্টায় ৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, তারা মাত্র ৪০টি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির তথ্য পাচ্ছেন। সব হাসপাতালের তথ্য পেলে প্রতি ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত কয়েকদিন যাবত রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে একাধিক মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ডেঙ্গু প্রতিরোধে গৃহীত বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ফলে খুব শিগগিরই ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া ও অতিবৃষ্টিতে ডেঙ্গু মশার প্রজনন কমে। গত কয়েকদিন যাবত যে গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে তা অব্যাহত থাকলে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুসারে ১ জানুয়ারি থেকে আজ ৬ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশের হাসপাতালে প্রায় ৩০ হাজার ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ হাজার ৯২১ জন। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭ হাজার ৯৬৮ জন।
গত ২৪ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ২ হাজার ৩৪৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৮৩, মিটফোর্ডে ১০৪, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩৮, শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে ৮৬, বারডেমে ১৯, বিএসএমএমইউয়ে ৪৩, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ২৬, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২১, বিজিবি হাসপাতালে ৭, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৪২ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৪৮ জন ভর্তি হন। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৪৬১ ও ঢাকা ছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগে ১ হাজার ৬৪ জন ভর্তি হন।
ঢাকা শহর ব্যতীত ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ২৭৩, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩১, খুলনা বিভাগে ১৬৪, রংপুর বিভাগের ৬৬, রাজশাহী বিভাগের ১০৬, বরিশাল বিভাগে ১২৪, সিলেট বিভাগে ৩২ ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৬৮ জন ভর্তি হন।
সৌজন্যে- জাগো নিউজ