সেলিম প্রধান। বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট। তাকে গ্রেপ্তার করে গত ১৭ ঘন্টায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে র্যাব। কোরিয়ার এক নাগরিকের মাধ্যমেই এদেশে প্রথম অনলাইনে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া পরিচালক সরওয়ার বিন কাশেম বলেন, গুলশানে সেলিম তার অফিসে ২০১৮ সাল অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে তাকে সব ধরণের কারিগরি সহযোগিতা করেন কোরিয়ার ওই নাগরিক। ব্যবসা পুরোপুরি রপ্ত হওয়ায় ওই বিদেশির সঙ্গে সম্পর্কে রাখেনি সেলিম। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তির মাধ্যমে ক্যাসিনো জগতের ডন সেলিম বিপুল পরিমান টাকা পাচার করেছেন।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, কোরীয় ওই নাগরিকের নাম-পরিচয় জানা গেলেও তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। সেলিম ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে তথ্য আছে।
এদিকে অনলাইন ক্যাসিনো থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৯ কোটি টাকা আয় করতেন সেলিম প্রধান। সোমবার থেকে টানা ১৭ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে তার গুলশান এবং বনানীর বাসা ও কার্যালয় থেকে ২৯ লাখের বেশি নগদ টাকা ও ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয়। ২৩ টি দেশের মুদ্রা ও ১৩ ব্যাংকের ৩২ টি চেক উদ্ধার করে র্যাব। এর আগে সোমবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।