৩ জুলাই ২০১৪:
আজ সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দু’দিনের দক্ষিণ কোরিয়া সফরে সিউল পৌঁছেছেন। এ সফরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া ইস্যু প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রথম চীনের কোনো প্রেসিডেন্ট পিয়ংইয়ং সফরের আগে সিউল সফর করলেন। চীনকে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার বলে মনে করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পিয়ংইয়ংয়ের কিছু আচরণে বেইজিং ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
উত্তর কোরিয়া সাগরে স্বল্পপাল্লার রকেট নিক্ষেপ করার একদিন পর চীনা প্রেসিডেন্টের সিউল সফর শুর হলো। এর আগেও কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং। গত বছর উত্তর কোরিয়া তার তৃতীয় পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে এবং বলা হচ্ছে দেশটি চতুর্থ পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছে।
সিউলে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টদের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে উত্তর কোরিয়াকে কীভাবে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে চীন তার নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন না। এ ছাড়া, দুই নেতা নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করবেন বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হবে তাদের বৈঠকের অন্যতম মূল লক্ষ্য।