Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

২০২০-এ শতাধিক পারমাণবিক বোমার অধিকারী হবে উ. কোরিয়া

Flag-map_of_North_Koreaদুই কোরিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই আগামী দোসরা মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ায় শুরু হচ্ছে ওয়াশিংটন ও সিউলের দুই মাসব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়া। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষার জন্য বার্ষিক এই মহড়ার আয়োজনের কথা বলা হলেও; একে উস্কানিমূলক উল্লেখ করে ওয়াশিংটন ও সিউলের প্রতি এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। এদিকে, ২০২০ সালের মধ্যে উত্তর কোরিয়া শতাধিক পারমাণবিক বোমার অধিকারী হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা।

যুদ্ধের এই মহড়া দক্ষিণ কোরীয় ও মার্কিন সেনাদের প্রায় নিত্যদিনের কর্মসূচিরই অংশ। কোরীয় যুদ্ধ শেষে দক্ষিণে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি স্থাপনের পর থেকে মাঝে মধ্যেই কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে এমন সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে দু’দেশের সেনারা।

chardike-ad

এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিউল থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পুচেওন এলাকায় এক সামরিক মহড়ার আয়োজন করা হয়। এর কদিন যেতে না যেতেই মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে, আগামী মাস থেকে বার্ষিক সামরিক মহড়া অনুষ্ঠানের কথা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ বাহিনী। উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসন রুখতেই এই মহড়ার আয়োজন বলে জানান সিউলে নিযুক্ত মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা।

মাকিন সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল জেফরি পি গটলিব বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্যই এ-সামরিক মহড়ার আয়োজন। দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর সব ধরনের আগ্রাসন প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। কেউ যদি এখানে হামলা চালায়; তাদের পরাজিত করতে সেনারা প্রস্তুত আছে। ‘

১৯৫০ থেকে ৫৩ সাল পর্যন্ত কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।

সীমান্তের ওপারে উত্তর কোরিয়ায়ও চলছে সামরিক মহড়া। সোমবার দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়ার পর থেকে, জল ও স্থলে কয়েক হাজার সেনা মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরীয় উস্কানির পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এই যুদ্ধ প্রস্তুতি বলে জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরীয় প্রতিনিধি। একই সঙ্গে এ-বছরের মধ্যে ওয়াশিংটন-সিউল যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধেরও আহ্বান জানানা তিনি।

জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরীয় প্রতিনিধি এএন মিয়ং হুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, অস্থায়ীভাবে হলেও কোরীয় দ্বীপে তাদের সামরিক মহড়া বন্ধ করা হোক। তাদের এই কর্মকাণ্ডে এ অঞ্চলে দিনদিন উত্তেজনা বাড়ছে এবং পরমাণু যুদ্ধ বেঁধে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ‘

এদিকে, উত্তর কোরিয়ায় কর্মরত এক মার্কিন গবেষকের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, আগামী ৫ বছরের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তির অন্তত ১শ’ পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে সক্ষম হতে পারে পিয়ংইয়ং।

এর আগে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এ অঞ্চলে সামরিক মহড়া বন্ধের শর্তে; তাদের পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত করার প্রস্তাব দেয়া হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে ওয়াশিংটন। এমন প্রেক্ষাপটে গত বছরের শেষদিকে চতুর্থ বারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর হুমকি দেয় উত্তর কোরিয়া।