Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

২২’মে সিউলে বাংলাদেশ উৎসব

কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব বাংলাদেশ উৎসব। আগামী ২২’মে রবিবার সিউলে এই উৎসব অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। বছরের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হিসেবে সবার আগ্রহও থাকে এই উৎসবকে ঘিরে। উৎসবের প্রধান প্রধান দিকগুলো নিয়ে বাংলা টেলিগ্রাফের বিশেষ প্রতিবেদন।

কনসার্টে আসছেন বাপ্পা ও ঝিলিক

chardike-ad

bappaএবারের বাংলাদেশ উৎসবে আসছেন জনপ্রিয় গায়ক বাপ্পা মজুমদার এবং চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ ঝিলিক। জনপ্রিয় এই দুই শিল্পীর জনপ্রিয় গানগুলো কোরিয়া প্রবাসীরা আনন্দের সাথে উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। কনসার্টে আরো যোগ দিবেন কি-বোর্ড সোহেল আজিজ, গিটার এমরান খান এবং ড্রাম আলমগীর।

আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে, দিন বাড়ি যায়, সব হৃদয়ে প্রেম থাকেনা, আমি চিনিগো চিন ওগো বিদেশিনীসহ অসংখ্য গানের জন্য বিখ্যাত এই শিল্পী সিউলে গাইবেন হাজার হাজার বাংলাদেশীকে আনন্দ দিতে। উপমহাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ বারীণ মজুমদারের ছেলে বাপ্পা মজুমদার একাধারে সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার এবং সুরকার।  তার জনপ্রিয় এ্যালবামগুলোর মধ্যে তখন ভোর বেলা, কোথাও কেউ নেই, রাতের ট্রেন, ধুলো পড়া চিঠি, ক’দিন পরে ছুটি, বেঁচে থাক সবুজ উল্লেখযোগ্য।বাপ্পা মজুমদার চ্যানেল ওয়ানে টেলিভিশন অনুষ্ঠান দ্য ওয়ান, অ্যা মিউজিকাল টক শো-এর উপস্থাপনা করেছেন। এছাড়া স্টেজ শো, টিভিতে সরাসরি গানের অনুষ্ঠানসহ গানের জগতে তার বিচরণ সব জায়গায়।

বাংলাদেশ উৎসবে আসছেন ’চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ’ বিজয়ী জানিতা আহমেদ ঝিলিক। চার বছর বয়স থেকেই তিনি নিয়মিত সঙ্গীতচর্চা করছেন। এরইমধ্যে তার দুটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম একক অ্যালবাম ‘আমার কি দোষ’এবং  দ্বিতীয় একক ‘ঝিলিক’বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে তিনি লাইভ প্রোগ্রাম ও স্টেজ শোও নিয়মিত করছেন। দেশের প্রায় সব জেলাতেই ঝিলিকের স্টেজ শো করা হয়ে গেছে। দেশের বাইরের তালিকাও বেশ দীর্ঘ। এ পর্যন্ত তিনি আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, দুবাই এবং কাতারে স্টেজ শো করেছেন।

কোরিয়া প্রবাসী শিল্পীদের আমন্ত্রণ

প্রতিবারের মত এবারো বিসিকে এবারের উৎসবে থাকছে কোরিয়া প্রবাসী শিল্পীদের জন্য বিশেষ একটি পর্ব। কোরিয়ার পরিচিত এবং জনপ্রিয় শিল্পী আশুতোষ অধিকারী ছাড়াও উৎসবে কোরিয়া প্রবাসী জনপ্রিয়  শিল্পীরা মঞ্চ মাতাবেন।

কে জিতবেন সিউল-ঢাকা-সিউলের টিকেট?

দশ হাজার উওনের কুপন কিনে যে কেউ পেতে পারেন সিউল-ঢাকা-সিউলের টিকেট, সিউল-ঢাকা ওয়ানওয়ে টিকেট, জেজু-সিউল-জেজু রাউন্ড টিকেটসহ ১০টি আকর্ষনীয় পুরস্কার। প্রতিবারের মত এবারও অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে কুপন।

এছাড়া উৎসবে থাকছে বিভিন্ন ধরণের বাংলা খাবারের স্টল।প্রবাস জীবনের একাকীত্ব এবং কাজের চাপে বন্ধু বান্ধবের সাথে দেখা করার সুযোগ হয়ে উঠেনা। বাংলাদেশ উৎসবে যোগ দেন হাজারো বাংলাদেশী। শুধু বন্ধবান্ধব নয়, স্বদেশী হাজারো মুখ দেখার সুযোগ হয় এইদিন।  প্রতিবারই অনেক দিন দেখা হওয়া বন্ধুবান্ধবদের উৎসবের অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে গল্প আড্ডায় মেতে উঠতে দেখা যায়।  এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না।

আয়োজনের পেছনে যারা

বাংলাদেশ উৎসব উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কমিউনিটির ইন কোরিয়া’র গঠিত আয়োজক কমিটির সাথে সহযোগিতায় আছে বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বরাবরের মত সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস উৎসবকে সফল করার জন্য যাবতীয় সহযোগিতা করে আসছে। কোরিয়ার বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হাত বাড়িয়ে দিয়েছে উৎসবকে সফল করতে। পৃষ্টপোষক হিসেবে আছে কেইবি ব্যাংক,  কেএইচ ইনভেস্টমেন্ট, গ্যাঞ্জেস রেস্টুরেন্ট, প্রাইম ট্রাভেল এবং জাফরান রেস্টুরেন্ট। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে বাংলাভিশন এবং বাংলা টেলিগ্রাফ।

যেভাবে যাবেন

সিউল সাবওয়ের ২ নম্বর লাইনের ওলজিরু ইপগু স্টেশনে (을지로입구역) নেমে ৫ নং এক্সিট দিয়ে বের হয়ে ২৫০ মিটার হেটে আসলেই কেইবি (কোরিয়া একচেঞ্জ ব্যাংক) এর হেড অফিস। সাবওয়ে গেইটে বিসিকের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ থাকবেন।

Bangladesh Festival 2016 final