Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সিরিয়ার ২০ শতাংশ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত

সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলায় জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সিরিয়ায় অপারেশনে থাকা ২০ শতাংশ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বলেছেন, সিরিয়া যদি আবারও রাসায়নিক হামলা চালায় তবে তা বোকার মতো একটা কাজ হবে।

chardike-ad

গত সপ্তাহে সিরিয়ার বিদ্রোহী-অধ্যুষিত খান শেইখোন শহরে যে রাসায়নিক হামলা চালানো হয় তাতে ৮৯ জন নিহত হন। এ হামলার জন্য সিরিয়াকে দায়ী করা হলেও তারা তা অস্বীকার করে আসছে।

সিরিয়ার মিত্র রাশিয়াকে তাদের দিক থেকে সরাতে ও নীতি নির্ধারণে ইতালিতে বৈঠকে বসছে জি৭ জোটের নেতারা।

মঙ্গলবারের রাসায়নিক হামলার পরদিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার শায়রাত বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

মন্ত্রী ম্যাটিস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে জবাব দিয়েছে তাতে সিরিয়ার জ্বালানি ও অস্ত্রাগার এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং অপারেশনে থাকা ২০ শতাংশ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন, শায়রাত বিমানঘাঁটি থেকে কোনো বিমানে জ্বালানি সরবরাহ ও রণসজ্জিত করার ক্ষমতা হারিয়েছে সিরীয় সরকার। এই বিমানঘাঁটির রানওয়েও এখন অলস পড়ে রয়েছে।

সিরীয় সেনাবাহিনী ক্ষয়-ক্ষতির কথা স্বীকার করলেও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সিরিয়া বিমান বাহিনীর কেবল ৬টি মিগ-২৩ বিমান আর কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র শায়রাত বিমানবন্দরে আঘাত হানতে পেরেছে।

ম্যাটিস আরো বলেছেন, এই হামলায় এ বার্তায় দেয়া হয়েছে যে, রাসায়নিক হামলা চালিয়ে নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করবে আর যুক্তরাষ্ট্র তা বসে বসে দেখবে তা হবে না।

হোয়াইট হাউস মুখপাত্র সিন স্পাইসার বলেছেন, আরও হামলা পরিকল্পনা রয়েছে।