মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে নতুন করে অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দেওয়ার পর রাশিয়া জানিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোর এমন কার্যক্রম তারা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
পেসকভ বলেন, “আমরা ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের অস্ত্র সহায়তার বিষয়টি নিবিড়ভাবে নজরে রাখছি।”
তিনি আরও জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আপাতত কোনো ফোনালাপ নির্ধারিত নেই। তবে প্রয়োজনে দ্রুততম সময়ে সংলাপ আয়োজন সম্ভব বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি এক বক্তব্যে ট্রাম্প প্রকাশ্যে রাশিয়ার প্রতি অসন্তোষ জানিয়ে বলেন, “পুতিনকে ৫০ দিনের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তিতে আসতে হবে, না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন ও কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।” তিনি আরও হুঁশিয়ার করেন, “আমরা সেকেন্ডারি ট্যারিফ আরোপ করব, যারা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করবে, তারাও এর প্রভাব এড়াতে পারবে না।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই অবস্থান রাশিয়ার জন্য চাপ তৈরি করলেও পুতিন এখনো ‘শান্ত থেকো ও এগিয়ে চল’ কৌশল অনুসরণ করছেন। তবে এই চাপ কার্যকরভাবে যুদ্ধ বন্ধে প্রভাব ফেলবে কি না, তা অনিশ্চিত।
উল্লেখ্য, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ট্রাম্প দাবি করেছেন, “আমি প্রেসিডেন্ট হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতাম।”
যদিও ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে এর আগে ছয়বার ফোনালাপ এবং রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের একাধিক বৈঠক হলেও যুদ্ধবিরতির কোনো অগ্রগতি এখনো দেখা যায়নি।




































