
নীতি সুদহার একই রেখে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য মুদ্রানীতি বিবৃতি (এমপিএস) ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামলেই প্রধান নীতি সুদহার কমানো হবে। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন আগামী ডিসেম্বরে ৭ দশমিক ২ এবং জুনে ৮ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণ গত জুনে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আনুষ্ঠানিকভাবে এই এমপিএস ঘোষণা করেন।
গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতি ধীরে-ধীরে কমছে। তবে এখন আমাদের কাঙ্খিত মাত্রায় আসেনি। আমাদের লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি ৩ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। মূল্যস্ফীতি কমে গত জুনে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে নেমেছে। বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা এবং উৎপাদন ভালো হওয়ায় এটা কমছে। চাল ছাড়া সব পণ্যের দর স্থিতিশিল রয়েছে।
যদিও ২০২৫ সালের জুনে মাসিক মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন। তবুও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ নাগাদ বাৎসরিক গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশে, যা ২০১৩ অর্থবছর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আগের অর্থবছর এই হার ছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২ সালের মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত নীতি সুদহার বা রেপো রেট ১১ বার বাড়িয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে এই হার ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়।
নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধে কঠোর আর্থিক নীতি বজায় থাকবে। এতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যস্ফীতি সম্পর্কিত প্রত্যাশা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের ধারণা অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির হার যদি ধীরে ধীরে আরও কমতে থাকে, তাহলে রেপো হার কমানো হতে পারে।’
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্ট করে দিয়েছে, মূল্যস্ফীতির হার ৭ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত রেপো হার ১০ শতাংশেই অপরিবর্তিত থাকবে।


































