শুক্রবার । ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আন্তর্জাতিক ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৯:১৬ অপরাহ্ন
শেয়ার

ইসরাইল আবার আক্রমণ করলে ‘নতুন ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহারের হুঁশিয়ারি ইরানের


iran

ফাইল ছবি

ইসরাইল আবার আক্রমণ করলে ‘নতুন ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কয়েক বছর আগের তৈরি ছিল। ইরানের হাতে এখন নতুনভাবে তৈরি উন্নত মানের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা ভবিষ্যতে ইসরায়েলের যেকোনো আক্রমণের জবাবে ব্যবহার করা হবে।

বুধবার (২০ আগস্ট) ‘প্রতিরক্ষা শিল্প দিবস’ উপলক্ষে তেহরানে অবস্থানরত একদল বিদেশি সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। নাসিরজাদে বলেন, “১২ দিনের যুদ্ধে আমরা কেবল জায়োনিস্টদের মোকাবিলা করিনি, তাদের পেছনে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা, লজিস্টিক ও সামরিক সহায়তাকেও প্রতিহত করেছি।”

তিনি আরও জানান, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ওই যুদ্ধে কোনো বিদেশি সম্পদের ওপর নির্ভর করেনি। যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত সব অস্ত্র-সরঞ্জাম ইরানের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্পে তৈরি ছিল। তার দাবি, ইরানের নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিখুঁতভাবে লক্ষ্যভেদ করে শত্রুর ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

নাসিরজাদে বলেন, যদিও ইসরায়েলি গণমাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রকৃত ফলাফল গোপন রাখা হয়েছে, তথাপি তথ্য ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে, যা ইরানের সামরিক সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। তার ভাষায়, “আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে, যার পুরোটা এখনও ব্যবহার করা হয়নি।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওই যুদ্ধে ইসরায়েল তাদের সর্বোচ্চ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—থাড, প্যাট্রিয়ট, আয়রন ডোম ও অ্যারো সিস্টেম ব্যবহার করেছিল। কিন্তু শুরুতে তারা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের মাত্র ৪০ শতাংশ প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও শেষ দিকে ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হয়। এতে প্রমাণিত হয়, ইরানের অভিজ্ঞতা বেড়েছে এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা দুর্বল হয়েছে।