
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ একাধিক মসজিদে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ায় তাঁর জন্য জান্নাতের সুউচ্চ স্থান কামনা করা হয় এবং তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করার প্রার্থনা জানানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর আগে সাত দিন ধরে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এই লড়াকু মুখ।
হাদির মৃত্যুতে আগামীকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। গতকাল রাতে সিঙ্গাপুরে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ সিদ্ধান্ত জানান। তিনি আরও বলেন, ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব রাষ্ট্রই পালন করবে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। আগামীকাল বাদ জোহর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোথায় দাফন করা হবে- সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণার সময় পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে দুর্বৃত্তের গুলিতে মাথায় গুরুতর আহত হন ওসমান হাদি। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই, বাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্সরা।
জাতীয় রাজনীতির অঙ্গনে আলোচিত এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার, সহযোদ্ধা ও সমর্থকদের পাশাপাশি জনগণের মাঝে গভীর শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।































