Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আদালতে যা বললেন মান্না

Manna

সেনাবাহিনীকে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগের মামলায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

chardike-ad

আদালতে রিমান্ড ও জামিনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। শুনানিকালে এক পর্যায়ে মাহমুদুর রহমান মান্নাও কিছু বলার অনুমতি চান। আদালত তাকে অনুমতি দেন।

অনুমতি পেয়ে মান্না বলেন, “আমি আইনজীবী নই, তাই ওনাদের মতো বলতে পারবো না। ওনারা রিমান্ড চেয়েছেন, যদি রিমান্ড চাওয়া এই কারণে হয় যে, মামলার তদন্তের স্বার্থে, তবে আমি বলব, আমি ওইদিন অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, শুধু ওই দুজনের সঙ্গে নয়। আমি যে কথা বলেছি তা কাটাছেঁড়া করে প্রকাশ করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি বলেছি, সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল কেউ কথা বলতে চায়, আমি বলতে পারি। এটা দোষের কী? রিমান্ডে দিয়ে কী হবে। আমি জানি না যারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তারা বিষয়টি বুঝবে কি না।”

মান্না বলেন, “আমি গণতান্ত্রিক অন্দোলনে বিশ্বাস করি। পেট্টল বোমার নিন্দা করেছি। বলেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গণতান্ত্রিক অন্দোলন শুরু করতে। বলেছি ছাত্রদের সংঘটিত করতে। গত বছর ৫ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে তা ছিল বিতর্কিত নির্বাচন।”

মান্না বিতর্কিত নির্বাচন বলার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা প্রতিবাদে চিৎকার করে ওঠেন। আদালতের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের বলা শুরু করে মান্না। তিনি বলেন, “আমি গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করি। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমার আন্দোলন করছি। আমি অসুস্থ, জিজ্ঞাসাবাদ জেলগেটে হতে পারে। আমি বিচার প্রক্রিয়া এড়াতে চাই না।”

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর বনানীর ই-ব্লকের ১৭ নম্বর সড়কের (বাসা নম্বর-১২) তার ভাতিজি শাহনামা শারমিনের বাসা থেকে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আটক করা হয় বলে পরিবার অভিযোগ করে। কিন্তু ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম মঙ্গলবার বলেন, কোনো আইনশৃঙ্খনা বাহিনী মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আটক করেনি। তবে বুধবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে র‌্যাব-২ এর একটি দল মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গ্রেপ্তার করেছে।