Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নির্বাচন আর পেছাচ্ছে না

electionআগামী ৩০ ডিসেম্বরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের তিন সপ্তাহ নির্বাচন পেছানোর দাবি চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ৩০ ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন পেছানো ইসির কাছে যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত এবং বাস্তব সম্মত না হওয়ায় নির্বাচন পেছানের আর কোনো সুযোগ নেই।’ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে প্রেসবিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন ইসি সচিব।

এর আগে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশার (সিইসি) কে এমন নুরুল হুদার সভাপতিত্বে আয়োজিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সকাল ১১টা থেকে ১২ পর্যন্ত টানা এক ঘণ্টা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও অন্যান্য কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশন সচিব উপস্থিত ছিলেন।

chardike-ad

পরে বিকেলে ইসির মিডিয়ার সেন্টারে আয়োজিত প্রেসবিফ্রিং এ সচিব বলেন, ‘গতকাল ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ মাননীয় কমিশনের নিকট এসে বেশ কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে। সেজন্য আজকে নির্বাচন কমিশন তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করেছেন এবং নিজেদের ভেতরে বৈঠক করেছেন।’

সচিব বলেন, ‘বৈঠক করে কমিশনাররা এই সিদ্ধান্তে নিয়েছেন যে, জানুয়ারি মাসে বেশ কয়েকটি আইনি ও সাংবিধানিক বিষয় আছে। যা হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে কাজগুলো করতে হবে। যেমন যদি পুনর্নির্বাচন করতে হয়, উপনির্বাচন করতে হয়, নির্বাচনে অনিয়ম হলে তদন্ত করা, গেজেট প্রকাশ করা, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ ইত্যাদি।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এ ছাড়া বিশ্ব ইজতেমা জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। এত প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ ধর্ম প্রাণ মুসল্লি অংশ নিয়ে থাকেন এবং লক্ষাধিক আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন থাকেন। সব দিক বিবেচনা করে এবং চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ৩০ ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন পেছানোর ইসির কাছে যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত এবং বাস্তব সম্মত না হওয়ায় নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই বলে ইসি সিদ্ধান্ত দিয়েছে।’

সচিব বলেন, ‘ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষক নয়, আমরা এ দেশের নাগরিক যে ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটার তাদের বিষয়গুলো আগে বিবেচনা করব। তবে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সবসময় আমরা স্বাগত জানাই।’

সেনাবাহিনী মোতায়েন সম্পর্কে হেলালুদ্দীন বলেন, ‘সকালে আমি বলেছিলাম। ২ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনী নামবে। আসলে আমি বিষয়টি বুঝতে চেয়েছিলাম সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তারারা সেনাবাহিনীর জন্য ১০ দিন আগে থেকে তাদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করবেন। তবে নির্বাচন কবে কখন কীভাবে সেনা মোতায়েন করা হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

ইসি সচিব আরো বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থাকা নিবন্ধিত দলগুলো বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষে’ নির্বাচন করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগে জোটগতভাবে নির্বাচন করার যে তালিকা ইসিতে জমা দিয়েছে, সেখানে বিকল্পধারা ও জাতীয় পার্টি নেই।’