Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্রদের দিয়ে ঘরের কাজ করাতেন বাঙালি অধ্যাপক!

ashim-mitraশিক্ষার্থীদের দিয়ে ঘরের কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি-কানসাস সিটির এক বাঙালি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। তার নাম অসীম মিত্র। ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা অসীম মিত্র ১৯৯৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি-কানসাস সিটির স্কুল অব ফার্মাসি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি ভারতীয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করাতেন।

সাবেক শিক্ষার্থীরা জানান, ঘর মোছা, পোষা কুকুরের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে অতিথিদের খাবার পরিবেশনের মতো কাজও করানো হতো তাদের দিয়ে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এনডিটিভি ও আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

chardike-ad

অসীম মিত্রের এক সাবেক ছাত্র হচ্ছেন কামেশ কুচিমাঞ্চি। তার কথায়, ‘ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি-কানসাস সিটিতে আমার জীবন আধুনিক দাসপ্রথারই নামান্তর হয়ে উঠেছিল।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলেন কামেশ। অসীম মিত্রের বিরোধিতা করলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিতেন। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, ভিসা নিয়ে যাবেন বলে নানাভাবে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করতেন ছাত্রদের।

ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি-কানসাসের এক বাঙালি অধ্যাপক মৃদুল মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি এ বিষয়ে জ্যাকসন কাউন্টি সার্কিট কোর্টে মামলা করেন। মৃদুল গোপনে একটি কথোপকথন রেকর্ড করেন। যেখানে এক ছাত্রকে অসীম মিত্র তার পোষা কুকুরকে দেখাশোনা করার কথা নির্দেশ দেন।

অসীম মিত্র তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অসীম মিত্র বলেন, ‘অনেক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের আমার বাড়িতে ডেকে নেই। তারা আসেন। তাদের পড়াশোনার কাজ করেছেন। আমার স্ত্রীর হাতের রান্নাও খেয়েছেন। পড়াশোনার বাইরে অন্য কোনো ব্যক্তিগত কাজ করানোর প্রয়োজন আমার কখনো হয়নি।’

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বহুবার অভিযোগ করার পরেও কর্তৃপক্ষ অসীম মিত্রর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ করেননি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করে দিতেন বাঙালি এই অধ্যাপক। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, সে কারণেই অসীম মিত্রের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সৌজন্যে- প্রিয়.কম