Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কাতারে ধরপাকড় আতঙ্কে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

qatar-workerভিসা জটিলতা, কর্মক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা ও বিভিন্ন আইনকানুনের ফলে প্রতিনিয়ত নানা সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে প্রবাসীদের। যাদের মধ্যে ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছে। মূলত পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও কাতারে শুরু হয়েছে অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি অভিযান।

কাতারে নিরাপত্তা শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিভিন্ন সময়ে এ অভিযানে নামে কাতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়। কাতারে যাদের আইডির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিন মাস পেরিয়ে গেছে তাদের এই অভিযানে আটক করা হচ্ছে।

chardike-ad

বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা বিশেষ করে নাজমা, ফিরোজ খানম, ন্যাশনাল জায়দা টাওয়ার, বিন ওমরান, আলখোর, ওয়াকরা, সানাইয়া, মদিনা খলিফা এলাকায় সবচেয়ে বেশি চলে এই অভিযান।

তাছাড়া নিজ কোম্পানি ছাড়া অন্য কোনো কোম্পানিতে কাজ করছেন তারাও এই অভিযানে আটক হচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে এই অভিযান চলবে বলে জানা গেছে। তবে এই অভিযানে কত আটক হয়েছে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি।

বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হাতে অবৈধ শ্রমিকদের পাশাপাশি অনেক বৈধ শ্রমিকদের আইডি,ডাইভিং লাইন্সেস থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন মার্কেট ও কর্মস্থল থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।আর এভাবে প্রতিদিনই প্রবাসীদের আটক করছে পুলিশ।

এদিকে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ জানান, বর্তমান ধরপাকড় পরিস্থিতি নিয়ে কাতার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের আলাপ চলমান। তারা জানিয়েছেন কোনো অবৈধ লোকের পাশাপাশি যদি বৈধ লোক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হাতে আটক হয়ে থাকে। তাহলে দূতাবাস বা পুলিশ স্টেশনে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। তাই প্রবাসী বাংলাদেশিদের আতঙ্কিত না হয়ে বৈধ কাগজপত্র (কাতারি আইডি) সঙ্গে নিয়ে চলাচল করার অনুরোধ জানানো হয়। এই সমস্যা খুব শীঘ্রই সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে কাতারস্থ বাংলাদেশ লেখক সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক আমিনুল হক জানান, বর্তমান এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটু সচেতন হতে হবে। আর বিশেষ করে গ্রেফতার এড়াতে দিনে বা সন্ধ্যার পর অযথা এদিক সেদিক ঘুড়াঘুড়ি না করা অনুরোধ জানান তিনি।