ইন্দোরে তিনদিনেই টেস্ট শেষ। বাংলাদেশ হারলো ইনিংস ও ১৩০ রানের ব্যবধানে। দুইদিন আগে টেস্ট শেষ হওয়ার কারণে ইডেন গার্ডেনে দিবা-রাত্রির গোলাপি বলের টেস্টের জন্য বাড়তি অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে মুমিনুল ইসলামরা।
কিন্তু ইন্দোরের মত ইডেনেও যে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামনে সবুজ ফাঁদ নিয়ে হাজির হচ্ছে ভারত। ইন্দোরে উইকেটে ছিল হালকা ঘাস। যেটা পেসারদের জন্য আদর্শ। ওই উইকেটেই কি না টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে ভুলটা করে বসেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
এবার ইডেনেও একই ধরনের উইকেট তৈরি করছে ভারত। ওই উইকেটে বাংলাদেশ কেমন করে, কি সিদ্ধান্ত নেয় এখন সেটাই দেখার বিষয়। ইডেনে গোলাপি বলে ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাবেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নতুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। সঙ্গে থাকবেন সিএবি’র শীর্ষ কর্মকর্তারাও।
শনিবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ শেখ হাসিনার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ২১ সদস্যের দল ইডেন ঘুরে দেখেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ইডেনে প্রবেশপথ, মাঠের মধ্যে অনুষ্ঠানের সময় তার অবস্থান কোথায় থাকবে, প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত অতিথি কক্ষ ও যে বক্সে বসে তিনি খেলা দেখবেন তা ঘুরে দেখেন বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
ইডেনে আসার আগে ভবানীভবনে সিএবি কর্মকর্তা, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সদস্য, বিমানবন্দর ও হোটেল কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা। এরপর ইডেনে এসে সেখানে আরও ঘণ্টা দেড়েক সরেজমিনে স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেন। পরে ইডেন ছাড়ার সময়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, ‘সিএবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক আছে।’
জানা গেছে, শেখ হাসিনার বক্সে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ একাধিক সুপারিশ করে গেছেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বন্দোবস্ত করছেন সিএবি কর্তারা। জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে হোটেলে গিয়ে এরপর মাঠে যাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
ইন্দোরের পর গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্টে বাইশ গজ কেমন হবে, সে সম্পর্কে ইডেনের উইকেট কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেন, ‘গোলাপি বলে খেলা হলে পিচে একটু ঘাস থাকলে ভাল হয়। না হলে, দ্রুত বলের পালিশ উঠে গিয়ে ব্যাটসম্যানদের খেলতে অসুবিধা হতে পারে।’ ফলে ইডেনেও যে বাংলাদেশের জন্য গতিময় পিচই তৈরি হচ্ছে বলে দেয়া যায়।