২০২৪ সালের আইপিএল শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করেছে বহু দল। দলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। এ বছরের ২৭ মার্চ একটি ম্যাচে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৭৭ রানের রেকর্ড গড়ে তাঁরা। আজ তাঁদের সংগৃহীত সেই রানের রেকর্ড ভাঙলো হায়দ্রাবাদ নিজেই।
আজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৮৭ রান সংগ্রহ করে নিজেদের রেকর্ড নিজেই ভাঙলো তাঁরা। যেটি আইপিএলের ইতিহাসে কোনো দলের পক্ষে সংগৃহীত সর্বোচ্চ রান। ব্যাঙ্গালোরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে রানের এই পাহাড়সম রেকর্ড গড়ে হায়দ্রাবাদ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন অজি ব্যাটার ট্র্যাভিস হেড, তাঁর সংগ্রহ ৪১ বলে ১০২। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন প্রোটিয়া ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন, তাঁর সংগ্রহ ৩১ বলে ৬৭।
ইনিংসের শুরুটা দারুণভাবেই হয় হায়দ্রাবাদের। দুই ওপেনিং ব্যাটার ট্র্যাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা হায়দ্রাবাদকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে দলকে ৭৬ রানের পুঁজি এনে দেয় এই জুটি। এরপর ধীরে ধীরে রানের টর্নেডো তৈরি করতে শুরু করেন তাঁরা। সপ্তম ওভারে ৯৭ রান, সাত ওভার ১ বলে ১০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে হায়দ্রাবাদ। এরপর ১১ ওভার ২ বলে দলীয় ১৫০ এবং ১৫তম ওভারে ২০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে দলটি।
তবে এরই মাঝে ২২ বলে ৩৪ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে রিস টপলির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন অভিষেক শর্মা। অন্যদিকে নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন হেড। ততক্ষণে ৮ ওভার ১ বলে ১০৮ রানের জুটি গড়ে ফেলেন তাঁরা।
এরপর মাঠে নামেন প্রোটিয়া ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন। তিনিও রানের ঝড় তোলেন। ট্র্যাভিস হেডের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ৫৭ রানের পুঁজি দেন তিনি। দলীয় ১৬৫ এবং ব্যক্তিগত ১০২ রানের মাথায় ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হেড। তবে তার আগে ৯টি বাউন্ডারি এবং ৮টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে এক ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন দলকে।
তবে হেনরিখ ক্লাসেনও কোনো অংশে কম যাননি। ২৩ বলে নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে ৬৭ রান করে দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিলো দুটি বাউন্ডারি এবং ৭টি ওভার বাউন্ডারি।
এরপর আবদুল সামাদ এবং এইডেন মার্ক্রাম রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। আবদুল সামাদের রানের সংগ্রহ ১৭ বলে ৩২। অন্যদিকে এইডেন মার্ক্রাম সংগ্রহ করেন ১০ বলে ৩৭ রান। মূলত এই দুই ব্যাটারের রানের ওপর ভর করেই ব্যাঙ্গালুরুকে ২৮৮ রানের পাহাড়সম টার্গেট দেয় হায়দ্রাবাদ।