Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

finalট্রফি জিততে না পারলেও এশিয়া কাপ এবং এশীয় যুব ক্রিকেটের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু কেন যেন এশিয়া মহাদেশের ইমার্জিং ক্রিকেটের ফাইনালটিই ছিল অধরা। আগের তিন আসরে দুই দুইবার শেষ চারে পৌঁছুলেও ফাইনালে জায়গা করে নেয়া হয়নি।

অবশেষে সে না পারা থেকে বেরিয়ে আসা। তিনবারের চেষ্টায় এশিয়ান ইমার্জিং ক্রিকেটের বহুল আকাঙ্খিত ফাইনালে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাণ ফ্রুটো ইমার্জিং এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেট আর ৬১ বল হাতে রেখে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। শনিবার একই ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ শিরোপা লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

chardike-ad

২০১৩ সালের প্রথম আসরে শেষ চারে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ২০১৭ সালে দেশের মাটিতে খেলা হলেও টাইগাররা পারেনি ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে। শ্রীলঙ্কার কাছে সেমির যুদ্ধে ৮ উইকেটে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন ভেঙ্গেছিল। এরপর ২০১৮ সালেও আশাভঙ্গের বেদনাই ছিল সঙ্গী। পরপর দুইবার সেমিফাইনালে উঠেও আবার সেই শ্রীলঙ্কার কাছে ৪ উইকেটে পরাজয়ে খালি হাতে দেশে ফেরা।

এবার সেই হতাশার অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আজ বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রাণ ফ্রুটো ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে আফগানদের হেসেখেলেই হারিয়েছেন সৌম্য, শান্ত, নাইম, আফিফরা।

সেই হংকংয়ের বিপক্ষে ১৪ নভেম্বর প্রথম ম্যাচ থেকেই বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দায়িত্বশীল ব্যাটিং টিম বাংলাদেশের বড় শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার আফগানদের সাথে সেমির যুদ্ধেও সেই দুই বাঁহাতির ব্যাট দলকে ফাইনালে পৌঁছে দিতে রেখেছে অগ্রণী ভূমিকা।

লক্ষ্য বড় ছিল না। পেসার হাসান মাহমুদ (৩/৪৮), স্লো মিডিয়াম সৌম্য সরকার (৩/৫৮) আর বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামের (২/৩৩) মাপা ও সাঁড়াশি বোলিংয়ে ২২৮ রানে আটকে যায় আফগানরা। মিডল অর্ডার দারউইশ রাসুলি (১২৮ বলে ১১৪) অনবদ্য শতরান না করলে আফগানিস্তানের স্কোর ২০০ হতো কিনা সন্দেহ।

২২৯ রানের মাঝারি লক্ষ্যের পিছু ধেয়ে অল্প সময়েই নাইম শেখকে (১৭) হারালেও সৌম্য আর শান্ত দ্বিতীয় উইকেটে ১০৭ রানের জুটি গড়ে টাইগারদের জয়ের পথে অনেকদূর এগিয়ে দেন। তবে শান্ত আর সৌম্যর কেউই খেলা শেষ করে আসতে পারেননি। দুজনই হাফসেঞ্চুরির পর পঞ্চাশের ঘরেই ফিরে গেছেন। সৌম্য ৫৯ বলে ৬১ আর অধিনায়ক শান্ত ৬৮ বলে ৫৯ রান করে ফেরেন।

তারপর বাকি কাজটুকু সারেন অপর দুই সম্ভাবনাময় তরুণ আাফিফ হোসেন ধ্রুব আর ইয়াসির আলী রাব্বি। এ দুজন সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রান জুড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে হাসিমুখে সাজঘরে ফেরত আসেন। বাঁহাতি ধ্রুব ৩৬ বলে ৪৫ আর ডানহাতি ইয়াসির রাব্বি ৫৬ বলে ৩৮ রানে থাকেন অপরাজিত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

আফগানিস্তান ইমার্জিং দল: ৫০ ওভারে ২২৮/৯ (দারউইশ রাসুলি ১১৪, ওয়াহিদুল্লাহ শাফাক ৩৪; হাসান মাহমুদ ৩/৪৮, ৩/৫৮, ২/৩৩)

বাংলাদেশ ইমার্জিং দল: ৩৯.৫ ওভারে ২২৯/৩ (সৌম্য সরকার ৬১, নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৯, আফিফ হোসেন ৪৫*, ইয়াসির আলি ৩৮*; আবদুল ওয়াসি ২/৪৬)

ফল: বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: সৌম্য সরকার (বাংলাদেশ)।