আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। ওই সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি আর দুটি টেস্ট খেলবে টাইগাররা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই সফরটি হবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
শঙ্কা আসলে পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়েই। পাকিস্তান যতই নিজেদের দেশকে নিরাপদ বলুক, বাংলাদেশ এখনও ওতটা নির্ভয়ে সফর করার কথা ভাবতে পারছে না। কেননা সর্বশেষ টাইগাররা পাকিস্তানে খেলতে গিয়েছিল সেই ২০০৩ সালে। এত বছরের মধ্যে অনেক কিছুই ঘটে গেছে। ২০০৯ সালে লঙ্কান টিম বাসের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আন্তর্জাতিক সিরিজ খুব একটা হয় না পাকিস্তানে।
বাংলাদেশও তাই চাইছে স্বল্প সময়ের মধ্যে এই সিরিজটা শেষ করে আসতে। তাই পাকিস্তানের মাটিতে শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চায় টাইগাররা, দুটি টেস্ট খেলার প্রস্তাব করেছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাতে রাজি নয়। সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে টেস্ট সিরিজ খেলে গেছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের তবে কেন আপত্তি? সেই প্রশ্নই পিসিবির।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের বিদেশি সদস্যরা পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। তারাই আপত্তি তুলেছেন, এই অবস্থায় টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও খেলা সম্ভব হবে কি না সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে আপত্তি তুলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাই। টেস্ট তো পরে, কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার তো টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতেও পাকিস্তানে যেতে নারাজ। তাই বিসিবি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
তবে পাকিস্তান মনে করছে, এই সিদ্ধান্তটা আসলে পুরোপুরি বিসিবি কিংবা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নয়। এখানে কলকাঠি নাড়ছে ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক চরমে, বাংলাদেশের সফর বাতিলের পেছনেও সেই ভারতেরই ষড়যন্ত্র দেখছে দেশটি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশী বলেন, ‘ভারতের চাপেই পাকিস্তানে আসতে চাইছে না বাংলাদেশ।’