প্রথম স্পেলে ৬ ওভারে ৩৫ রান খরচায় নিয়েছিলেন ১টি উইকেট। কাটিয়েছিলেন পাঁচ ম্যাচের উইকেটখরার ধারা। ইনিংসের ১৭তম ওভারে আক্রমণ থেকে সরার পর মনে হচ্ছিলো আর হয়তো বোলিং করতে আসবেন না তিনি; কিন্তু জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট আর পড়ছিল না দেখে ৪০তম ওভারে আসেন দ্বিতীয় স্পেলে।
দ্বিতীয় দফায় বোলিংয়ে এসে দুইটি বলও করতে হয়নি টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। প্রথম বলেই ফাইন লেগে ক্যাচে পরিণত করেছেন টিনোটেন্ডা মুতোমবদজিকে। যা টেনে দেয় জিম্বাবুয়ের ইনিংসের সমাপ্তি। বাংলাদেশ পায় নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ১৬৯ রানের জয়।
এ জয়ের ম্যাচে দুইটি দারুণ মাইলফলকে পৌঁছেছেন মাশরাফি। অধিনায়ক হিসেবে তিনি পূরণ করেছেন ১০০ ওয়ানডে উইকেট আর স্বীকৃত ক্রিকেটে তার পূরণ হয়েছে ৭০০ উইকেটের মাইলফলক। এ দুইটি অর্জনেই তিনি পা রেখেছেন জিম্বাবুয়ের দশম উইকেটটি নেয়ার মাধ্যমে।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে উইকেটের সেঞ্চুরি করা পঞ্চম বোলার হলেন মাশরাফি। ৮৬ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে উইকেটের এ সেঞ্চুরি পূরণ করলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। তার আগে অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে উইকেটের সেঞ্চুরি করেছেন ওয়াসিম আকরাম (১৫৮), শন পোলক (১৩৪), ইমরান খান (১৩১) এবং জেসন হোল্ডার (১০১)।
এছাড়াও একইসঙ্গে স্বীকৃত ক্রিকেটে ৭০০ উইকেট পূরণ হলো বোলার মাশরাফির। ২০০১ সালে শুরু হওয়া ক্যারিয়ারে আজ ৫২৩তম ম্যাচটি খেলতে নেমেছিলেন মাশরাফি। এর মধ্যে ফার্স্ট ক্লাসে ৫৭ ম্যাচে ১৩৫, লিস্ট ‘এ’তে ৩০৩ ম্যাচে ৪১৯ এবং কুড়ি ওভারে ক্রিকেটে ১৬৩ ম্যাচে শিকার করেছেন ১৪৬ উইকেট। সবমিলিয়ে পূরণ হয়েছে স্বীকৃত ক্রিকেটের ৭০০ উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত ৩০৮ ম্যাচে ৩৮৮ উইকেট রয়েছে মাশরাফির ঝুলিতে। টেস্ট ক্রিকেটে ৩৬ ম্যাচে ৭৮, ওয়ানডেতে ২১৮ ম্যাচে ২৬৬ উইকেট ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫৪ ম্যাচে মাশরাফির শিকার ৪২ উইকেট। আর মাত্র ১২টি উইকেট পেলে আন্তর্জাতিক উইকেটের ৪০০ পূরণ হবে তার।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পক্ষে স্বীকৃত ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ১১৪৪ উইকেট রয়েছে বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের দখলে। এছাড়া আরেক বাঁ-হাতি স্পিনার ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এখনও পর্যন্ত পেয়েছেন ৯৮৫টি উইকেট।